আজকাল ওয়েবডেস্ক: টিকটিকি, এই প্রাণীর সঙ্গে কমবেশি প্রায় সকলেই পরিচিত। এর আবার ভাগ রয়েছে অনেকরকমের। তার মধ্যে অন্যতম গিলা মনস্টার। বিষাক্ত টিকটিকি, এক কামড়ে বড় ক্ষতি হতে পারে মানুষের। কিন্তু ওই বিষই নাকি মহৌষধী? তেমনটাই দাবী গবেষকদের। 

ওজেম্পিক এবং ওয়েগোভির, যেগুলি ডায়াবেটিস, স্থূলতার চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়, ওই ওষুধগুলির অন্যতম উপাদান ওই টিকটিকির বিষ। 

বিশ শতকের শেষের দিকে, এন্ডোক্রিনোলজিস্ট ড্যানিয়েল ড্রাকার এমন একটি হরমোনের সন্ধান করছিলেন যা মানুষের অন্ত্রের জিএলপি-১-এর ক্ষুধা-দমন এবং রক্তে শর্করা-নিয়ন্ত্রক প্রভাবগুলিকে অনুকরণ করতে পারে। সেই সময়েই নজরে আসে এই বিষাক্ত বিষ, যা আমূল বদলে দেয় অনেককিছু।

ড্রাকার এবং টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের তাঁর দল বিষয়টি  নিয়ে আরও গবেষণার জন্য উটাহ চিড়িয়াখানা থেকে একটি গিলা মনস্টার নিয়ে কাজ শুরু করেন। গবেষণায় নিশ্চিত এই বিষাক্ত প্রাণীই সারিয়ে ফেলবে কঠিন অসুখ। যদিও তা নিয়ে চলেছে দীর্ঘ গবেষণা।  যদিও শুধু গিলা মনস্টার নয়, আরও বেশকিছু বিষাক্ত প্রাণীর বিষ থেকেই তৈরি হয় বহু প্রয়োজনীয় ওষুধ।