আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতে ভোটের (২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন) হার বৃদ্ধিতে কোনও আর্থিক সাহায্য করেননি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ৷ মার্কিন অনুদান নিয়ে শোরগোলর মধ্যেই ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (USAID)-j তহবিল নিয়ে বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ করল ভারতের অর্থমন্ত্রক ৷ সেই বার্ষিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে, ২০২৪-২৪ অর্থবর্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা সাতটি প্রকল্পে প্রায় ৭৫০ মিলিয়ন বা ৭৫ কোটি মার্কিন ডলার আর্থিক সাহায্য করেছে ৷ এই রিপোর্ট অনুসারে, বর্তমানে USAID ও ভারত সরকারের অংশীদারিত্বে প্রায় ৭৫০ মিলিয়ন ডলারের সাতটি প্রজেক্ট রয়েছে ৷ ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে USAID ৯৭ মিলিয়ন ডলার যা ভারতীয় টাকায় প্রায় ৮২৫ কোটি অনুদান দিয়েছে ৷
অর্থ মন্ত্রকের অধীনে আর্থিক বিষয়ক দপ্তর দ্বিপাক্ষিক অনুদানের ব্যবস্থাপনার প্রধান দায়িত্বে রয়েছে ৷ এই দপ্তরের তরফে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের রিপোর্টে ওই সাতটি প্রজেক্টের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে ৷ এই সময়ের মধ্যে ভোটের হার বৃদ্ধিতে কোনও অর্থসাহায্য করেনি জো বাইডেনের মার্কিন প্রশাসন ৷ কিন্তু কৃষি এবং খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্প, জল, নিকাশি এবং স্বাস্থ্য, পুনর্নবীকরণ শক্তি, বিপর্যয় মোকাবিলা ও স্বাস্থ্য খাতে অর্থসাহায্য করেছে আমেরিকা ৷
আমেরিকা ভারতকে ১৯৫১ সাল থেকে এই দ্বিপাক্ষিক উন্নয়নে সাহায্য করছে ৷ এই অনুদানের দায়িত্বে থাকে USAID ৷ এখনও পর্যন্ত মার্কিন প্রশাসনের এই এজেন্সি ভারতের ৫৫৫টিরও বেশি প্রকল্পে ১৭ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলারেরও বেশি আর্থিক সাহায্য করেছে ৷
ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে গত ২০ জানুয়ারি শপথ নিয়েছিলেন। এরপর তিনি দেশের অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা কমানো এবং মার্কিন প্রশাসনের খরচ হ্রাসের সিদ্ধান্ত নেন ৷ এই সংক্রান্ত 'ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি' (ডিওজিই) ১৬ ফেব্রুয়ারি দাবি করে যে, USAID ভারতকে যে ২১ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিচ্ছিল, তা বন্ধ করা হচ্ছে ৷ মার্কিন নাগরিকদের এই করের টাকা ভারতের ভোটের হার বৃদ্ধিতে অনুদান দেওয়া হয়েছে বলে চারবার একের পর এক মন্তব্য করতে থাকেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ৷ ফলে ভারতীয় রাজনীতিতে বিতর্কের পারদ চড়চড়িয়ে বেড়ে যায়।
