আজকাল ওয়েবডেস্ক: মকর সংক্রান্তি থেকে চলছে, ফেব্রুয়ারির প্রায় শেষ লগ্ন পর্যন্ত চলবে মহাকুম্ভ মেলা ২০২৫। কোটি কোটি মানুষ ডুব দিচ্ছেন কুম্ভ মেলায় গিয়ে। অনেকেই কুম্ভে ডুব দেওয়ার অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে কুম্ভ মেলা চলার মধ্যেই বড় রিপোর্ট দিল কেন্দ্র। তাতে যা বলা হয়েছে। তা দেখে একপ্রকার চক্ষু ছানাবড়া সাধারণের। 

কী বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্টে? জাতীয় পরিবেশ আদালতে সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে প্রয়াগরাজে মহা কুম্ভের সময় পুণ্যার্থীরা যে নদীতে স্নান সারছেন ভিড়ের মধ্যে এক চিলতে জায়গা খুঁজে নিয়ে, ওই জলে উচ্চ মাত্রার মল কলিফর্ম (মানুষ ও প্রাণীর মলমূত্রের জীবাণু)-এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। অর্থাৎ, যে নদীর জলে স্নান করার জন্য ছুটে যাচ্ছেন দেশ-বিদেশের মানুষ, সেই জলেই থিকথিক করছে জীবাণু-ব্যাকটেরিয়া।  

নদীর জলের গুণমান পরীক্ষা করে জানানো হয়েছে, কুম্ভের নদীর জল আর স্নানের যোগ্যই নয়। সিপিসিবি যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে একথা স্পষ্ট করা হয়েছে, সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর তেমনটাই। এনজিটি বেঞ্চ উল্লেখ করেছে, উত্তরপ্রদেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (ইউপিপিসিবি) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ। 

 বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের নেতৃত্বাধীন এজলাস এই প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছে। বুধবার এই পর্ষদের আধিকারিকদের ভার্চুয়ালি হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে বলেও খবর সূত্রের। উল্লেখ্য, বিপুল ভিড়, বহু জনসমাগম, শাহি স্নানের দিনের অত্যাধিক ভিড়ের কারণে, কোটি কোটি মানুষের ডুব দেওয়ার কারণেই নদীর জলের গুণগত মানের অবস্থার অবনতি, মনে করা হচ্ছে তেমনটাই।