আজকাল ওয়েবডেস্ক: গুলেন বেরি নিয়ে অবাক করা তথ্য সামনে এল। পুনে থেকে পাওয়া খবর অনুসারে জানা গিয়েছে যেভাবে এখানে বেসরকারি ক্ষেত্রে জলের সরবরাহ করা হত সেখান থেকে এই রোগের বৃদ্ধি ঘটেছে। পাশাপাশি প্রচুর মানুষ অপরিষ্কার জলের বোতল নিয়ে গিয়ে সেই জল নিয়ে এসে পান করেছে। ফলে এই রোগ এতটা বেড়েছে।
পুনেতে ইতিমধ্যে এই ধরণের বেশ কয়েকটি জলের প্ল্যান্টকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি আরও প্ল্যান্টে বেশ কয়েকটি নিয়ম মেনে চলা হয়ে থাকে। এখানে সেগুলি মানা হয়নি। জল থেকেই যে এই রোগের বৃদ্ধি হয়েছে তা সকলেই মেনে নিয়েছেন। সাধারণ মানুষ যত বেশি অপরিষ্কার থেকেছে গুলেন বেরি ততটাই বেড়েছে।
গোটা বিশ্বের মধ্যে সবথেকে বেশি গুলেন বেরিতে আক্রান্ত হয়েছে পুনেতে। এরপরই চিন্তায় পড়ে যায় সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তারা জানিয়ে দেয় এই রোগ কোথা থেকে আসছে সেটা আগে খতিয়ে দেখা হবে। পুনের বিভিন্ন স্থানে গজিয়ে ওঠা আরও প্ল্যান্টগুলিতে শুরু হয় অভিযান। এরপরই দেখা যায় যেভাবে নিয়ম না মেনে জল দেওয়া হয়েছে তাতে এই রোগ ছড়ানো নতুন কিছু নয়।
পুনে পুরসভা ইতিমধ্যে ৫০ টি জলের প্ল্যান্টকে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এগুলির জল থেকে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি এটাও দেখা গিয়েছে যেভাবে ময়লা জলের বোতল করে সাধারণ মানুষ ব্যবহার করে চলেছে সেখান থেকেও এই রোগ ছড়িয়েছে।
বেশ কয়েকটি জলের এটিএম মেশিনকেও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি এলাকা থেকে জলের নমুনা সংগ্রহ করে তাকে পরীক্ষা করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রতিদিন তাদের বাজার থেকে কেনা জল খেতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে কবে মুক্তি মিলবে সেটা তারা জানেন না।
এখানে ১ লিটার জল ২০ টাকাতে বিক্রি করা হত। তবে সেই জলের নমুনাতে মিলেছে ব্যাকটেরিয়া। ফলে জলের সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। এবার বিকল্প জলের যোগান দিতে হিমসিম খাচ্ছে প্রশাসন।
