আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিগত মাস অর্থাৎ জানুয়ারিতে রেকর্ড গরম পড়েছে। হিসাব করে দেখা গিয়েছে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ১.৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াল বেশি থেকেছে। ইউরোপ এবং এশিয়ার বিভিন্ন অংশে এই গরম অনেক বেশি পরিমানে বোঝা গিয়েছে। লা নিনা বিপরীত দিকে যাওয়ার ফলেই গরমের মাত্রা এতটা বেশি হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
তবে কেন এমনটা হল তা নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন আবহবিদরা। তারা মনে করছেন যে পথে লা নিনা যাওয়ার কথা ছিল সেখান থেকে উল্টো পথে গিয়েছে সে। এরপর ফেব্রুয়ারি মাসে ফের নিজের গতিপথ ধরেছে সে। তবে নিজের গতিপথ হারিয়ে ফেলার ফলে সে শীতল বাতাসকে টানা নিয়ে আসতে পারেনি। ফলে জানুয়ারি মাস এতটা গরম হয়েছে।
পৃথিবীর আবহাওয়া এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেখান থেকে দেখা যায় যদি একদিক থেকে শীতল বাতাস আসতে শুরু করে তাহলে উল্টোদিক থেকে গরম বাতাস তাকে বাধা দেয়। এখানে লা নিনা যে গতি নিয়ে নিজের শীতল বাতাসকে নিয়ে আসার কথা ছিল সেটা সে করতে পারেনি। ফলে সেখানে গরম বাতাসের মাত্রা বেড়েছে। জানুয়ারি মাসে যে শীতল পরিবেশ থাকার কথা ছিল তার বদলে সেখানে গরম বাতাস তার দাপট দেখিয়েছে।
প্রশান্ত মহাসাগর দিয়ে লা নিনা প্রবাহিত হয়েছে। তবে জানুয়ারিতে সে উল্টো পথে গিয়েছে। ফলে উল্টোদিক থেকে আসা গরম বাতাস তাকে অনেকটা পিছনের দিকে ঠেলে দিয়েছে। পৃথিবীবাসী তাই এমন উষ্ণতম জানুয়ারি মাসকে দেখেছে। অন্যদিকে ফের নিজের গতিপথে ফিরে গেলেন লা নিনা আর নিজের আসল জোর দেখাতে পারবে না।
এর প্রধান কারণ হল যদি নিজের পথে লা নিনা ঠিক থাকত তাহলে এতদিন শীতের পরিবেশ থাকত। তবে তাকে গরম বাতাস অনেকটা পিছনের দিকে ঠেলে দিয়েছে। ফলে এখন এই গরম বাতাসকে সরিয়ে ফের শীতল পরিবেশ তৈরি করা তার কাছে প্রায় অসম্ভব। সাময়িক শীত দিলেও গরমের হলকার কাছে এবার হয়তো হার মানবে লা নিনা।
