আজকাল ওয়েবডেস্ক: ধরুন কোনও সকালে ঘুম ভাঙল আপনার অথচ কিছু মনে নেই। কাউকে চিনতে পারছেন না আপনি। জীবন অহেতুক মনে হবে। ঠিক তেমনই এক ঘটনা ঘটল কানাডিয়ান এক মহিলার সঙ্গে।

 

 

ঠিক কী ঘটেছিল? জানা গিয়েছে, মাথায় আঘাতের পরে তিনি তাঁর প্রেমিককে সম্পূর্ণ ভুলে গিয়েছিলেন। চিনতে পারছিলেন না কিছুই। এমনকী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ই তিনি তাঁকে ট্যাক্সি ড্রাইভার ভেবে ভুল করেছিলেন। 

 

 

 

এক প্রতিবেদন অনুসারে, মাত্র ৩৩ বছর বয়সী ওই মহিলা ন্যাশ পিল্লাই এর সঙ্গে প্রথম দুর্ঘটনা ঘটে মাত্র নয় বছর বয়সে। সেইসময় দক্ষিণ আফ্রিকায় তাঁর পরিবারের সঙ্গে একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়েন। সেইসময় চোট পেয়েছিলেন ভালই। এই অভিজ্ঞতার ফলে তিনি এমনিতেই দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন। 

 

 

পরবর্তীতে ২০২২ সালে তার মাথায় আরেকটি আঘাত লাগে। এর ফলে তাঁর স্মৃতিশক্তি সম্পূর্ণ হ্রাস পায়। ঘুম থেকে ওঠার পর তাঁর সঙ্গী জোহানেস জ্যাকোপের কথা তিনি ভুলে যান। এমনকী মনে করতে পারেন না তাদের ছয় বছরের মেয়ের কথাও। 

 

জোহানেস যখন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান, ন্যাশ বিশ্বাস করেছিল যে সে একজন ট্যাক্সি ড্রাইভার। তাঁকে ডাক্তারি পর্যবেক্ষণে তিন দিন রাখা গিয়েছিল। এবং ডাক্তার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তাঁকে একজন নিউরোলজিস্ট দেখাতে হবে। সেই কঠিন সময়ে জোহানেস অবিচলভাবে তাঁর পাশে ছিলেন। শেষপর্যন্ত তাঁদের সম্পর্ক মজবুত ছিল। সবচেয়ে ভাল কথা ওই দম্পতি গত বছর বিয়ে করেন। 

 

এই নতুন জীবনের জন্য ন্যাশ তাঁর স্বামীর অসাধারণ ধৈর্য এবং সমর্থনের কথা উল্লেখ করেছেন। এক বিশেষ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, মেয়েকে প্রথমে চিনতে না পারলেও তিনি মাতৃত্বের অনুভূতি টের পেয়েছিলেন। তবে জোহানেসের অটল ভালবাসার মাধ্যমে, ন্যাশ ধীরে ধীরে আবার তাঁর প্রেমে পড়ে যান। বর্তমানে তাঁদের আরও এক সন্তান রয়েছে।  ন্যাশের এই অসাধারণ গল্প এখন একটি তথ্যচিত্রের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।