আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাংলাদেশ সীমান্তে জারি রয়েছে কড়া সতর্কতা। তাও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সাবধানের মার নেই। তাই সীমান্তবর্তী এলাকায় পাট বা পাট জাতীয় লম্বা ফসল চাষে নিষেধাজ্ঞা জারির পক্ষে বিএসএফ। ইতিমধ্যেই বিএসএফের তরফে পশ্চিমবঙ্গের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলার জেলা শাসকদের কাছে ওই নিষেধাজ্ঞা জারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসাসনের পক্ষ থেকে যাতে চাষিদের বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বোঝানো হয় তাও জানানো হয়েছে। 

এই নির্দেশিকা নতুন নয়, তিন মাস আগেই বিএসএপের পক্ষে এই নির্দেশিকা জারি হয়েছে।

সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর যুক্তি, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের প্রায় ২০০০ কিলোমিটার রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এর মধ্যে ৫০০ কিমির বেশি অরক্ষীত সীমান্ত। অনেক সময়ই সেইসব সীমান্ত দিয়ে নজর এড়িয়ে অনুপ্রবেশ ঘটে থাকে। যা বন্ধ করতে সচেষ্ট বিএসএফ। তাদের মতে, লম্বা ফসলের চাষ সীমান্ত এলাকায় হলে অনুপ্রবেশকারীরা সেখানে গা ঢাকা দেওয়ার সুযোগ পেয়ে যায়, ধরা সম্ভব হয় না। সেই ঝামেলা দূর করতেই জেলা শাসকদের নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের উপস্থিতিতে এক অনুষ্ঠানে বিএসএফ পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের এডিজি রবি গান্ধী এই নির্দেশিকার কথা জানিয়েছেন। তাঁর স্বীকারোক্তি, গত অগাস্ট থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে বাহিনীর ভূমিকা বেশ চ্যালেঞ্জিং। সীমান্ত জুড়ে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।

বিএসএফ পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের এডিজি রবি গান্ধী বলেছেন, "এখানকার ভৌগোলিক অবস্থা, সামাজিক সমীকরণ প্রতিবেশী বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের উত্থান-পতন বিএসএফের কাজকে চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে। তবে, সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর দক্ষ জওয়ান, সাহসী অফিসার প্রতিটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নিজেদের দায়িত্ব খুব ভালভাবে পালন করছেন। অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালান এই অঞ্চলের প্রধান সমস্যা। সীমান্ত পর্যবেক্ষণের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। সীমান্তবাসীদের আস্থা অর্জন করে, চোরাচালান এবং অনুপ্রবেশের  ক্ষতি সম্পর্কে তাদের সচেতন করা হচ্ছে।" এই বিএসএফ কর্তার দাবি, সীমান্তে অপরাধ, অবৈধ কার্যকলাপ, অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালান উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।