আজকাল ওয়েবডেস্ক : অন্ধ্রপ্রদেশের কাদিরি নামে একটি গ্রাম রয়েছে। সেখানে রয়েছে একটি অতি প্রাচীন বটগাছ। অন্যদিক থেকে বলা ভালো এখানে রয়েছে পৃথিবীর বৃহত্তম বটগাছ। বিরাট এলাকা জুড়ে সেই বটগাছ নিজের শাখা বিস্তার করেছে। এই বটগাছ প্রকৃতিপ্রেমী এবং বিজ্ঞানীদের কাছে একটি আকর্ষণের দিক। তবে এটি শেষ কথা নয়। এই বটগাছকে ঘিরে রয়েছে বেশকিছু স্থানীয় প্রবাদ যাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিরাট রহস্য।


প্রায় ৫ একর জমি নিয়ে রয়েছে এই বটগাছ। প্রায় একটি ফুটবল মাঠের সমান। এর যদি সঠিক মাপ নেওয়া যায় তাহলে দেখা যাবে এর আকার হল ১৯১০৭ স্কোয়ার মিটার। ক্যালিফোর্নিয়াতে এমন একটি বটগাছ রয়েছে। তাকেও পিছনে ফেলেছে এই বটগাছটি। 


তবে এবারই চমক দেওয়ার পালা। স্থানীয় প্রবাদ অনুসারে প্রায় ১৫ দশকে এই জায়গায় এক সতীকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল তার স্বামীর চিতার সঙ্গে। তারপর থেকেই গোটা এলাকাটি ছমছমে হয়ে যায়। এরপর সকলকে অবাক করে দিয়ে সেই দাহ করার জায়গা থেকেই গজিয়ে ওঠে এই বটগাছ। একে কাটার সাহস কেউ দেখায়নি। বহু শতাব্দী ধরে তাই নিজের বৃহৎ আকার তৈরি করেছে এই গাছটি। 

 


বর্তমানে এই বটগাছের কাছে এসে অনেকে নিজের মনের ইচ্ছা জানান। যাদের সন্তান নেই তারা এখানে এসে সন্তানের জন্য প্রার্থনা করেন। স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন এই বটগাছের হাওয়া গায়ে লাগলেই জীবনের সমস্ত অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটে। ফলে জীবনকে নতুন করে শুরু করা যায়।

 


এই বটগাছটি এমনভাবেই গড়ে উঠেছে যে সেখান থেকে বহু শাখা প্রশাখা বের হয়েছে। এগুলি থেকেও নতুন বটগাছ তৈরি হয়েছে। তাই প্রতিদিন এই বটগাছের জোর বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করেন অশুভ শক্তি এখানে এসে বন্দি হয়ে যায়। তাই এই বটগাছকে অশুভ শক্তির কফিন বলেই তারা মনে করেন। 


৫৫০ বছর ধরে এই বটগাছটি মাথা তুলে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা একে যথেষ্ট মান্যতা দেন। তাদের মতে এখানে এলে সমস্ত খারাপ শক্তি তার কার্যকারিতা হারায়। ফলে এখানে এসে যারা নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন তাদের সেই সমস্যার সমাধান অবশ্যই হয়। তাই সবদিক থেকে দেখলে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি মানুষের বিশ্বাসের ভারও বহন করে চলেছে এই ঐতিহ্যবাহী বটগাছ।