আজকাল ওয়েবডেস্ক: ছেলের বিয়ে দিয়েছেন, নবদম্পতিকে রাজস্থানে পাঠিয়েছেন রাজস্থানের আলোয়ারের এক ব্যবসায়ী। কিন্তু, ছেলে-বউমার মধুচন্দ্রিমার দ্বিতীয় দিনেই অদ্ভূত কাণ্ড। একটি ফোন-কল নাড়িয়ে দেয় ওই ব্যক্তি ও তাঁর গোটা পরিবারকে। যা জানলে পাঠকও হতবাক হতে বাধ্য।

রামবতার গুপ্তা নামের ওই ব্যবসায়ী জানান, ওই দিন সকাল ১১টা নাগাদ অপরিচিত একটি নম্বর থেকে তাঁর কাছে ফোন এসেছিল। ফোনের অন্য প্রান্ত থেকে তাঁর ছেলের কণ্ঠস্বর শুনতে পান। ছেলে বলছে 'বাবা, বাঁচাও'। যা শুনে হকচকিয়ে যান ব্যবসায়ী। ঠিক পরে, মোবাইলটি নিয়ে নেন অন্য এক ব্যক্তি। সে নিজেকে পলিশ পরিচয দেয়। এতে আরও ঘাবড়ে যান রামবতার গুপ্তা।

ব্যবসায়ী ফোনে ওই পুলিশ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি জানান যে, তাঁর ছেলেকে একটি অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্তের তালিকা থেকে ছেলের নাম মুছে ফেলার জন্য পুলিশ ৩ লক্ষ টাকা দাবি করেন। যদি টাকা অবিলম্বে না পাঠানো হয় তবে ছেলের কারাদণ্ডের হুমকি দেওয়া হয়। যা শুনেই মুহূর্তে পায়ের তলা থেকে যেন মাটি সরে যাচ্ছিল ব্যবসায়ীর।

রামাবতার কী করবেন তা বুঝতে না পেরে সাহায্যের জন্য তাঁর প্রতিবেশী তথা আরেক ব্যবসায়ী সত্য বিজয়ের কাছে যান। সত্য বিজয় নম্বরটি পরীক্ষা করে এবং হোয়াটসঅ্যাপ ডিসপ্লে ছবি দেখেন। দেকা যায় যে হোয়াটসঅ্যাপ ডিসপ্লের ছবি একজন পুলিশের। সব দেখে সত্য বিজয়ের আর বুঝতে অসুবিদা হয়নি যে সেটা সাইবার জালিয়াতি। সত্য বিয়জ তাঁর ভাগ্নের সঙ্গে ঘটে যাওয়া একই ধরনের অপরাধের কথা তুলে ধরেন বন্ধু রামাবতারের কাছে।

প্রতারণা বুঝতে পেরে, রামাবতার ফের ওই নম্বরে ফোন করেন। ফোন রিসিভ করতেই তিনি জানান যে, তিনি সব পুলিশকে জানিয়েছেন এবং তাঁদের সঙ্গে পুলিশ কনফারেন্স কলে রয়েছেন। তখনই প্রতারক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

রামাবতার জানান যে, কাশ্মীরে মধুচন্দ্রিমার কারণে তাঁর ছেলের ফোন বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য তিনি সরাসরি তাঁর ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে প্রতারকের চক্রান্তের শিকার হয়েছেন।