আজকাল ওয়েবডেস্ক: মাসকলাইয়ের জিলিপি আর শাঁকালু। পূর্ব বর্ধমানের সদরঘাট মেলা জমে উঠেছে এই দুটি জিনিস নিয়ে। উল্লেখ্য, এই মেলা জেলার বড় মেলাগুলির মধ্যে অন্যতম। অন্যান্য খাবার যেমন ঘুগনি, পাঁপড় ভাজা থাকলেও স্রেফ মাসকলাইয়ের তৈরি জিলিপি এবং শাঁকালুর টানে ছুটে আসেন অনেকেই। 

 

কেউ বলেন ঘুড়ির মেলা কেউবা আবার বলেন সদরঘাটের মেলা। অনেকেই বলেন শাঁকালুর মেলা। প্রতিবছর মাঘ মাসের প্রথমদিন এই মেলা বসে। তবে যে নামেই ডাকা হোক না কেন, আড়াই প্যাঁচের তৈরি মাসকলাইয়ের জিলিপি যা তেলে ডুব দিয়ে রসের কড়াইয়ে সাঁতার কেটে উপরে ওঠে তার স্বাদই আলাদা। 

 

যদিও কয়েকজন বিক্রেতা জানিয়েছেন, মাসকলাইয়ের বেশি দামের জন্য জিলিপির দাম বেশি হয়ে যাওয়ায় অনেক ক্রেতাই কিনতে চান না। তাই বাধ্য হয়ে তাঁদের ময়দার তৈরি জিলিপি ভাজতে হয়। স্থানীয়দের মতে, প্রাচীন এই মেলা বসত দামোদর নদের দক্ষিণ পাড়ে পলিমপুর নামে একটি গ্রামের নদীর তটে। সেইসময় দামোদরের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হত চাষের জমি। কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত শস্য যেমন ধান, গম, আলু, পিঁয়াজ শাঁকালু ও অন্যান্য সব্জি-সহ এই মেলায় বিক্রির জন্য আসতেন। গুড়, মিষ্টি কিনে নিয়ে ফিরতেন। এখনও এই মেলায় বিক্রি হয় মাটির হাঁড়ি, কলসি, কুঁজো-সহ গৃহস্থালির নানা জিনিসপত্র। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে সহযোগিতা করা হয়। 

 

বহু আগে যেমন নৌকা নিয়ে এই মেলায় বিক্রি করতে বা কেনাকাটা করতে লোকজন আসতেন এখন মেলায় টোটো করে আশেপাশের লোকজন আসেন। ফলে মেলা উপলক্ষে টোটো চালকদের ব্যস্ততাও তুঙ্গে।