আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্ত্রীকে কুপিয়ে কুপিয়ে খুন। দেহটি ঘরের মধ্যে খাটের তলায় লুকিয়ে রেখেছিল স্বামী। মুখে লাগানো ছিল সাদা কাপড়। যাতে দেহটি পচে না যায়। কারণ যুবকের ইচ্ছে ছিল, স্ত্রীর দেহ টুকরো টুকরো করে ছড়িয়ে দেবে গোটা শহরে। গ্রেপ্তারির পর পুলিশকে নিজের এই ইচ্ছের কথাই জানাল সে। যা শুনে রীতিমতো আঁতকে উঠেছে পুলিশ। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ২৯ ডিসেম্বর ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির জনকপুরী এলাকায়। গত শুক্রবার ওই ঘর থেকে দীপিকা চৌহানের দেহ খাটের তলা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্ত শুরুর পর পুলিশ জানতে পারে, দীপিকা একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতেন। তাঁর স্বামী অঙ্কিত চৌহান একটি বাইক চালক হিসেবে কাজ করত। রোজগারের সব টাকা খরচ করে নিত্যদিন মদ্যপান করত সে। যা ঘিরে অশান্তিও হত। সংসারের খরচ বহন করতেন দীপিকা। অঙ্কিতের সন্দেহ ছিল, দীপিকা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত। তার জন্যেই স্ত্রীকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল সে। 

২৯ ডিসেম্বর স্ত্রীকে খুন করে অমৃতসর পালিয়ে গিয়েছিল অঙ্কিত। সেখান থেকে দিল্লিতে ফিরে দীপিকার বন্ধুকেও খুন করার পরিকল্পনা করেছিল। পাশাপাশি দীপিকার দেহটি টুকরো টুকরো করে শহরে ছড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছে ছিল তার। যাতে কেউ তাকে সন্দেহ না করে। অমৃতসর থেকে দিল্লি ফেরার পথে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনার তদন্ত এখনও জারি রয়েছে।