আজকাল ওয়েবডেস্ক: ছোটদের শারীরিক সমস্যা নিয়ে আমরা যতটা চিন্তিত, মানসিক সমস্যা নিয়ে ততটা নই। ওদেরও যে মানসিক রোগ হতে পারে, সেটা মানতেই আমাদের কোথাও আটকায়। কিন্তু শিশুদের মানসিক সমস্যার হার গোটা পৃথিবীতে ক্রমশ বাড়ছে। তাই বাবা-মায়েদেরও সচেতন হতে হবে। বুঝতে হবে সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্যের গতিপ্রকৃতি। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সৌমিক ঘোষ জানালেন, কীভাবে বুঝবেন আপনার শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য অবনতির পথে?

 

 

যদি দেখেন আপনার সন্তান হঠাৎ তার খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে অথবা কমিয়ে দিয়েছে, তাহলে বুঝতে হবে তার মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে। ছোটরা খুব তাড়াতাড়ি অনুকরণ করতে পারে। এবং বয়ঃসন্ধিকালে নিজেকে নিয়ে তৈরি হয় কৌতূহল। সেই সঙ্গে যোগ হয় পছন্দ অপছন্দের মাপকাঠি। কাউকে অনুকরণ করতে গিয়ে, তার মতো নিজেকে তৈরি করতে অনেকসময় ছোটরা খাওয়াদাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে বা কমিয়ে দেয়। তাদের তখন বোঝাতে হবে সে নিজের মতোই সুন্দর। বাবা-মায়ের ধৈর্য হারালে চলবে না। 

 


আবার কখনও দেখা যেতে পারে আপনার সন্তান অন্যমনস্ক হয়ে মোবাইল ফোনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। তখন বকাবকি না করে বুঝতে হবে, এখন গোটা জগতটাই ছোট্ট মুঠোফোনে বন্দি। পড়াশোনা থেকে শুরু করে বিনোদন এবং সর্বোপরি যোগাযোগের মাধ্যম। তাই শিশুটির মনে হতে পারে, এক মুহূর্তও ফোন থেকে দূরে থাকলে হয়তো জরুরি কিছু চোখের আড়াল হয়ে যাবে। তাই তখন তাকে বাইরে আপনার সঙ্গে হাঁটতে নিয়ে যান। কখনও তার সঙ্গে গল্প করুন, কিংবা ঘরের কাজে তাকেও সঙ্গে নিন। 


যদি দেখেন সন্তান সারা ঘরজুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাহলে তার দৌরাত্ম্য বেড়েছে ভাবেন অনেকে।তবে এর কারণ মানসিক অবস্থার অবনতিও হতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় বাবা-মা দু'জনেই ব্যস্ত থাকার কারণে সন্তানকে সময় দিতে পারেন না। তাই নিজের মনের কথা বলার সুযোগ হয়না শিশুটির। মানসিক চাপ বাড়তে বাড়তে তাই বাড়ির লোকের মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য হয়তো চঞ্চল হয়ে ওঠে সে। সন্তানের খেয়াল রাখা মানে তার শারীরিক ও মানসিক দুইয়ের যত্নই। তাই কাজের ফাঁকে একটু সময় সন্তানের জন্যও তুলে রাখুন।