আজকাল ওয়েবডেস্ক: মরিয়া লড়লেন লোকেশ রাহুল-রবীন্দ্র জাদেজা। বাকিটা করলেন বুমরা ও আকাশদীপ। তাঁদের লড়াইয়ে ফলো অন বাঁচাল ভারত। ব্রিসবেনে লজ্জা বাঁচাল ভারত। ফলো অন বাঁচানোর সঙ্গে সঙ্গে ড্রেসিং রুমের ছবিটা বলে দিচ্ছিল কতটা আনন্দিত রোহিত শর্মা-গৌতম গম্ভীররা।
দিনের শুরুতে লোকেশ রাহুল, পরে রবীন্দ্র জাদেজা। ভারতকে আশার আলো দেখিয়েছিলেন এই দুই তারকা। কিন্তু সমবেত ভাবে সবাই ব্যর্থ হলে, একা দু'জন আর কী করেন! তবুও টেল এন্ডারদের সৌজন্যে ভারত মান বাঁচাল।
লোকেশ রাহুল যেখানে শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই শুরু করেন রবীন্দ্র জাদেজা। তিনিই দেশের ক্রাইসিস ম্যান। যখনই বিপদে পড়িবে জাদেজাকে স্মরণ করিবে।
২০১৯ সালের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালই ধরুন। মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে সেই অবিস্মরণীয় পার্টনারশিপের কথা কে ভুলতে পারেন! আইপিএল ফাইনাল। শেষ দু' বলে ম্যাচের রং বদলে দিয়ে সিএসকে-কে চ্যাম্পিয়ন করা। রবীন্দ্র জাদেজার ঝুলিতে রয়েছে এমন অনেক রূপকথা।
ব্রিসবেনেও তিনি একাই রুখে দাঁড়িয়েছিলেন অজি বোলারদের বিরুদ্ধে। গোড়ার দিকে লোকেশ রাহুলের সঙ্গে জুটি বেঁধে ভারতকে টানছিলেন।
রাহুল ফেরার পরে কখনও নীতীশ রেড্ডি, কখনও সিরাজ, আবার কখনও বুমরাকে নিয়ে লড়ে গেলেন। জাদেজার নামের পাশে লেখা রইল ৭৭ রান। বাকি কাজটা সারলেন বঙ্গ পেসার আকাশদীপ ও বহু যুদ্ধের সৈনিক বুমরা।
বুমরা মাঝেমধ্যেই প্রত্যাঘাত করছিলেন। ছক্কা মেরেছেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে আকাশদীপ তাঁর ব্যাটিং দক্ষতা প্রদর্শন করতে পেরেছেন। ৩১ বলে দ্রুত ২৭ রান করেন আকাশ। ২টি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারি মারেন তিনি। বুমরা অপরাজিত থাকেন ১০ রানে। চতুর্থ দিনের খেলা শেষ হয়ে যাওয়ার সময়ে ভারতের রান ৯ উইকেটে ২৫২। এখনও ১৯৩ রানে পিছিয়ে টিম ইন্ডিয়া। হাতে আর একদিন। ব্রিসবেন টেস্ট হয়তো ড্রয়ের কোলেই ঢলে পড়বে। আকাশদীপ ও বুমরাকে অভিনন্দন জানান মাঠে উপস্থিত দর্শকরা। সার্থক হল রাহুল ও জাদেজার লড়াই। ফলো অন বাঁচাল ভারত। সেই সঙ্গে হয়তো ম্যাচও বাঁচিয়ে দিল রোহিতের টিম ইন্ডিয়া।
