আজকাল ওয়েবডেস্ক: যতদিন যাচ্ছে বাড়ছে এআই প্রযুক্তির ব্যবহার। এবার তৈরি হল এআই ইঁদুর। চীনের বেইজিং -এর ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি বানিয়েছে এই রোবটিক ইঁদুর।
সংস্থার এক গবেষক কিং শি জানিয়েছেন, রোবটিক ইঁদুরের চেহারা এবং চলাফেরা ইঁদুরের মতো, এমনকী বাস্তবের ইঁদুরের গায়ের গন্ধের মতই তাদের গন্ধ। ইঁদুরের আচরণের হদিশ জানার জন্য এই এআই ইঁদুর বানিয়েছেন গবেষকরা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রশিক্ষিত ইঁদুরেরও একটি বায়োনিক মেরুদণ্ড, একটি চোখ, দুটি সামনের হাত এবং চলাফেরার জন্য চাকা রয়েছে। দুটি হাত বানানো হয়েছিল ইঁদুরের নড়াচড়ার কথা মাথায় রেখে। ওই হাত দিয়েই বাস্তবের ইঁদুরের মতো সে জিনিস স্পর্শ করতে, খেতে, কোনও বস্তুর কাছে পৌঁছে যেত।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, রোবোটিক ইঁদুরের গতি বাড়ানোর জন্য চাকাগুলো পেছনের পায়ের জায়গায় বসানো হয়েছিল। এই রোবোটিক ইঁদুর তৈরির মূল উদ্দেশ্য হল জীবিত ইঁদুরের আবেগ, সামাজিক আচরণ বোঝা। এমনকী এটা যে রোবট তা যাতে না বোঝা যায় তাই বাস্তবের ইঁদুরের প্রস্রাব ওই ইঁদুরের গায়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপর একটি পরীক্ষাগারে রোবোটিক ইঁদুরটিকে একটি আসল ইঁদুরের সঙ্গে তিন ঘন্টারও বেশি সময় রাখা হয়েছিল। রোবটটি আসল ইঁদুরের কাছে গিয়েছিল এবং দুজনে মিলে খুনসুটি করছিল। বাস্তবের ইঁদুর টের পায়নি কিছু। অন্যদিকে এআই ইঁদুরটি বাস্তবের ইঁদুরের আচরণ দেখে সমস্ত আচরণ নকল করতে শিখেছে।
প্রাথমিকভাবে দুই ইঁদুরে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন হয় কি না সেটাই দেখার ছিল গবেষণায়। পরীক্ষার পর দেখা যায়, রোবোটিক ইঁদুর আক্রমণাত্মকভাবে কিছু করেনি। এআই প্রযুক্তিতে এ এক বড় সাফল্য। এর ফলে রোবটের মাধ্যমে প্রাণীর আচরণ জানা যাবে। যা গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।
