আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারত এবং কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। দুই দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে কড়া মন্তব্য করছে। কানাডার জাতীয় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা উপদেষ্টা নাটালি জি. দ্রুয়িন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, কানাডার সরকার ভারতীয় নেতাদের বিরুদ্ধে কোনও অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িত থাকার প্রমাণ সম্পর্কে অবগত নয়।
এই মন্তব্য আসে কানাডার সংবাদমাধ্যমের একটি প্রতিবেদনের পর, যেখানে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কানাডীয় কর্মকর্তারা দাবি করেছিলেন, ভারতীয় নেতারা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে জানতেন। নিজ্জর একজন শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ছিলেন, যাকে গত বছর ভ্যাঙ্কুভারে হত্যা করা হয়। কানাডার সরকার এই প্রতিবেদনকে জল্পনাপূর্ণ এবং অযৌক্তিক বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
ভারত এই অভিযোগকে কুৎসা বলে উল্লেখ করেছে এবং অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, কানাডিয়ান সরকারের সূত্র থেকে এমন হাস্যকর মন্তব্যকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করা উচিত।
প্রসঙ্গত, কূটনৈতিক সঙ্কটের সূত্রপাত সেপ্টেম্বর মাসে যখন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দাবি করেন যে, নিজ্জরের হত্যায় ভারতের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ভারত এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করে। বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এতটাই তলানিতে, যে উভয়পক্ষই কূটনীতিক বহিষ্কার এবং উত্তপ্ত মন্তব্যের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান আরও কঠোর করে তুলছে। যদি এই পরিস্থিতি চলতে থাকে তাহলে আগামীদিনে ভারত-কানাডা সম্পর্কের আরও অবনতি হতে পারে। সেক্ষেত্রে কানাডার বসবাসকারী ভারতীয়রা যে ফের বাড়তি চাপ অনুভব করবেন সেকথা বলাই বাহুল্য। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক এবার কোন দিকে যায় সেটাই দেখার। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবিষয়ে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করবেই বলেই খবর মিলেছে।
