আজকাল ওয়েবডেস্ক: বসিরহাট জেলা হাসপাতালের পর হাসনাবাদের ঘোলা হাসপাতাল। সোমবার ফের আগুন আতঙ্কে ছোটাছুটি চিকিৎসক, নার্স ও রোগীদের। দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।  

 

 

দমকল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে হাসনাবাদের ঘোলা ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালের আউটডোরে আচমকা আগুন ছড়িয়ে পড়ে। হাসপাতাল ভবনের দোতলার আউটডোর বিভাগে প্রথমে আগুন দেখা যায়। মুহূর্তে সেই আগুন অন্যান্য বিভাগে ছড়িয়ে পড়ে। ধোঁয়ায় ভরে যায় হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ। আগুন দেখে চিকিৎসক নার্স ও রোগীর পরিজনেরা ছোটাছুটি শুরু করেন। অনেকেই হাসপাতাল ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। পরিজনরা রোগীদের ধরে বাইরে নিয়ে আসেন। প্রথমে হাসপাতালের কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা জল দিয়ে ওই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে খবর পেয়ে দমকলের একটি ইঞ্জিন কর্মস্থলে পৌঁছায়। দমকল কর্মীদের প্রায় একঘণ্টার চেষ্টায় ওই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দমকল আধিকারিকদের প্রাথমিক অনুমান, বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটেছে। তবে ওই আগুনে হতাহতের কোনও খবর নেই বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে। 

 

 

প্রসঙ্গত, রবিবার দুপুরে বসিরহাট জেলা হাসপাতালের মেল সার্জিক্যাল ওয়ার্ডের ওষুধের গোডাউনে আচমকা আগুন দেখা যায়। সুইচ বোর্ড থেকে ওই আগুন লেগেছিল বলে দমকল আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন। ওই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই বসিরহাট মহাকুমার হাসনাবাদ হাসপাতালে ফের আগুনের ঘটনায় বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বসিরহাটের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, হাসনাবাদ প্রাথমিক হাসপাতালে আগুনের একটি ঘটনা ঘটেছে। অল্প সময়ের মধ্যে সেই আগুন নিয়ন্ত্রণ চলে আসে। বিশেষ কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।