আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিয়ে মানে কী? বেশিরভাগ উত্তর আসবে, দু'জন মানুষের আইনি বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে একসঙ্গে জীবন কাটানোর স্বীকৃতি। সহজভাবে বলতে গেলে, এক ছাদের তলায় দু'জনের সারা জীবন কাটানোর বন্ধন। কিন্ত 'বিয়ে' নিয়ে খানিকটা ভিন্ন মতও পোষণ করেন অনেকে। বিয়ে মানেই স্বাধীনতা চলে যাওয়া, নিজেদের পছন্দকে অপোস করে মানিয়ে চলা বলেও মনে করেন অনেক দম্পতি। আর এই কারণে দিনকেদিন বাড়ছে বিয়েভীতি। তাই ইদানীং বিয়ের পরও একসঙ্গে না থাকার ট্রেন্ড শুরু হয়েছে। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। এমনই এক নিয়ম জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে জাপানে। নাম দেওয়া হয়েছে 'সেপারেশন ম্যারেজ'।
কী এই 'সেপারেশন ম্যারেজ'? আসলে 'অদ্ভুত' এই নিয়মে সামাজিক ও আইনগতভাবে বিয়ে করেও দম্পতিরা যে যাঁর বাড়িতে থাকছেন। ফোনে দু'জন দু'জনের খোঁজখবর রাখেন। সপ্তাহে এক বা দুই দিন দেখাও করেন। যদিও সামাজিক ও আইনগতভাবে একে অন্যের প্রতি দায়িত্বশীল তাঁরা। আসলে জাপানের তরুণ দম্পতিরা মনে করেন, এই প্রথাবিরোধী বিয়ে তাঁদের দাম্পত্য কলহ, ভুল–বোঝাবুঝি থেকে দূরে রাখছে। সংসারে বেশি সময় দিতে হচ্ছে না বলে নিজেদের কেরিয়ারেও মনোযোগ দিতে পারছেন তাঁরা।
খানিকটা প্রেমের মতোই সেপারেশন বিয়ে। প্রেম করলে যেমন প্রেমিক-প্রেমিকা কেউ কারওর বাড়িতে থাকেন না, সেপারেশন বিয়েও ঠিক তেমন। এক্ষেত্রে আইনগতভাবে বিয়ে হলেও স্বামী-স্ত্রী দু'জনের জীবন আগের মতোই থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সুবিধামত সময়ে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে দেখা করেন 'সেপারেশন ম্যারেজ'-এর দম্পতিরা। তাই অনেকে মজা করে এই বিয়ের নাম দিয়েছেন, 'সাপ্তাহিক বিয়ে'।
সম্প্রতি ‘সেপারেশন ম্যারেজ’ রাজধানী টোকিও সহ জাপানের বেশ কিছু শহরে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জাপানে জনপ্রিয় হয়ে উঠা এই সেপারেশন বিয়ের ইতিবাচক দিক রয়েছে। সাধারণত বিয়ের পর স্বামী স্ত্রী দুজনের দায়িত্ব বেড়ে যায়। ব্যস্ততার কারণে নিজেকে সময় দেওয়া সম্ভব হয় না। বাড়তি চাপ থাকে সংসারের। ফলে দিনকেদিন দাম্পত্যে বাড়ছে সমস্যা। কিন্তু সেপারেশন বিয়ের ক্ষেত্রে এরকম কোনও জটিলতা নেই। তাই বর্তমানে জাপানের তরুণ প্রজন্ম মনে করে, বিয়ের পর আলাদা থাকাই শ্রেয়।
