আজকাল ওয়েবডেস্ক: এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি খুনের নেপথ্যে পরতে পরতে রহস্য। তদন্তে উঠে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর খবর। গুলি চালানো শেখার জন্য ইউটিউবের ভিডিও দেখে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল দুই অভিযুক্ত। এমনকী অভিযুক্তেরা নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা চালানোর জন্য স্ন্যাপচ্যাট এবং ইনস্টাগ্রাম -এর মত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করত, এমনটাই জানিয়েছে মুম্বই পুলিশ।
মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ জানিয়েছে, গোটা খুনের পরিকল্পনা তৈরি হয়েছিল পুনেতে। গ্রেপ্তার হওয়া দুই শ্যুটার গুরমাইল সিং এবং ধরমরাজ কাশ্যপ - ইউটিউবে ভিডিও দেখে শুটিং শিখেছিল। প্রভাবশালী ওই নেতাকে হত্যা করার জন্য তারা দীর্ঘদিন ধরে অনুশীলনও করেছিল। সিদ্দিকির ব্যানার দেওয়া ছবিতে তারা নির্ভুল লক্ষ্যের উদ্দেশ্যে প্র্যাকটিস করত।
তদন্তে আরও উঠে এসেছে, বাবা সিদ্দিকিকে হত্যার পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল তিন মাস আগেই। তখন থেকে অভিযুক্তরা অস্ত্র ছাড়াই বেশ কয়েকবার নেতার বাড়িতে আসে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার ২৫ দিন আগে অভিযুক্তরা শেষ এনসিপি নেতার বাড়িতে ঢুকেছিল।
মঙ্গলবার, অপরাধস্থলের কাছে একটি কালো ব্যাগ থেকে একটি ৭.৬২ এমএম পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাক্তন এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি হত্যায় ক্রাইম ব্রাঞ্চ এখনও পর্যন্ত চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে, তিনজন এখনও পলাতক। ১২ অক্টোবর দশেরার রাতে মুম্বইয়ের বান্দ্রায় তাঁর ছেলে এবং বিধায়ক জিশান সিদ্দিকির অফিসের কাছে তাঁকে গুলি করা হয়। দ্রুত লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে আসার কিছু পরেই মৃত্যু হয় প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রীর।
জানা গিয়েছে, ২৩ বছর বয়সী হরিশকুমার বালক্রম এই হত্যায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করত। এই লোকটি নয় বছর ধরে বসবাস করছে পুনেতে, এখনও অধরা। অপরাধের জন্য অস্ত্র এবং টাকা দুইই সরবরাহ করেছিল ওই ব্যক্তি। সে শুটারদের দুটি মোবাইল ফোনও দিয়েছিল। সেই মোবাইল ফোন উদ্ধার করেই দেখা গিয়েছে নিজেদের মধ্যে স্ন্যাপচ্যাট আর ইন্সটাগ্রামে কথাবার্তা চালাত অভিযুক্তেরা।
