আজকাল ওয়েবডেস্ক: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মহাপ্রসাদ এবার থেকে পাবেন বিনামূল্যেই, এমনটাই জানিয়েছেন উড়িষ্যার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন। কার্তিক মাসে পুন্যার্থীদের সংখ্যা অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

 

পুরীর মন্দিরে অধিষ্ঠিত জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। এই তিন দেবতাকে যে খাবার প্রতিদিন ভোগ হিসেবে নিবেদন করা হয় তাই হল মহাপ্রসাদ। এই ভোগ পাওয়ার জন্য আকুলতা থাকে পুন্যার্থীদের মধ্যে। এতদিন পর্যন্ত মহাপ্রসাদ মিলত টাকার বিনিময়। ভক্তদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এই অভিনব চিন্তা সরকারের। অনুমান সারা বছর বিনামূল্যে মহাপ্রসাদ বিলি করতে হলে বছরে প্রায় ১৪ থেকে ১৫ কোটি টাকা খরচ হবে। এজন্য বিভিন্ন ভক্তরা চাইলে সরকারকে অনুদানও দিতে পারেন। 

 

 

ভারতে যে কয়টি তীর্থ আছে তার মধ্যে পুরী অন্যতম। জগন্নাথ দর্শন এর জন্য সারা বছরই দেশ বিদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রচুর লোকসমাগম হয়ে থাকে। জগন্নাথ ত্রিমূর্তি সাধারণত পুরীর মন্দিরের গর্ভগৃহে পূজা করা হয়, তবে একবার আষাঢ় মাসে (জুন বা জুলাই) তাদের পুরীর প্রধান রাস্তায় নিয়ে আসা হয় এবং ৩ কিমি দূরে শ্রী গুন্ডিচা মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই মন্দির জগন্নাথের মাসির বাড়ি। সপ্তাহ পরে সে আবার ফিরে আসে নিজের মন্দিরে। 

 

 

খ্রিস্টীয় ১২ শতকে গঙ্গা রাজবংশের রাজা অনন্তবর্মণ চোদাগঙ্গা মন্দিরটি পুনর্নির্মাণ করেছিলেন। পরে এটি অনঙ্গভীম-দেব দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পরবর্তীতে শংকরাচার্য এই মন্দির ভ্রমণ এলে এই মন্দিরের খ্যাতি সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। 

 

 

বর্তমানে উড়িষ্যা সরকার এই মন্দিরটির সংস্কারে হাত দিয়েছে। আইনমন্ত্রী এদিন সাংবাদিকদের জানান, বিনামূল্যে মহাপ্রসাদ দেওয়ার পাশাপাশি, সরকার খোঁজ করছে কোনও গুপ্ত সুরঙ্গ বা চেম্বার আছে কিনা। পুরীর মন্দিরকে ঘিরে এরকম নানান কথা শোনা যায়। রত্ন ভান্ডারের অভ্যন্তরে কোনও লুকানো চেম্বার বা সুড়ঙ্গের অস্তিত্ব নির্ণয়ের জন্য গত মাসে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই) এবং সিএসআইআর-এনজিআরআই-এর বিজ্ঞানীরা প্রযুক্তিগত সমীক্ষা চালিয়েছিলেন। এই রিপোর্ট পাওয়া যাবে খুব দ্রুত তারপর কিছু মিললে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে সরকার।