আজকাল ওয়েব ডেস্ক: ব্যস্ততার জীবনে অন্য কোনও শরীরচর্চা করার সময় না থাকলেও প্রতিদিন হাঁটার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। হাঁটা হল সুস্থতার জন্য সবচেয়ে সহজ ও কার্যকরী এক্সারসাইজ। তবে যারা সাধারণত নিয়মিত হাঁটেন না তাঁদের ছয় মিনিট হাঁটাও কঠিন মনে হতে পারে। তবে জানেন কি মাত্র ৬ মিনিট মিনিট হাঁটলেই আপনি ফুসফুস ও হার্টের স্বাস্থ্য বুঝতে পারবেন। বিশেষ করে যাদের সমস্যা রয়েছে তাঁরা এই সামান্য সময়ে হেঁটেই হার্ট কিংবা ফুসফুসের স্বাস্থ্যের মূল্যায়ন করতে পারবেন। ছয় মিনিট হাঁটার পরীক্ষা (6MWT) হল এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে কোনও মানুষের কার্যকরী ক্ষমতা এবং সহনশীলতা পরিমাপ করা হয়।

এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা ছয় মিনিট একটি সমতল, শক্ত পৃষ্ঠে হাঁটার ক্ষমতা পরীক্ষা করেন। কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজে থেরাপিউটিক অ্যাডভান্সের ২০১৯ সালের গবেষণা অনুসারে, কোনও সরঞ্জাম ছাড়া এই সহজ পরীক্ষা হার্ট ও ফুসফুসের কার্যকরী ক্ষমতা পরিমাপ করে। ছয় মিনিটের হাঁটার পরীক্ষা ঠিক কী? কতটা উপকার পাওয়া যায় এই পরীক্ষায়? আসলে কোনও ব্যক্তির শারীরিক কার্যকলাপের সময়ে হার্ট ও ফুসফুস কতটা ভালভাবে কাজ করে তা মূল্যায়ন করাই ছয় মিনিটের হাঁটার পরীক্ষার প্রাথমিক লক্ষ্য। গবেষণা বলছে, এই পরীক্ষাটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরে ব্যয়ামের ক্ষমতার যে পরিবর্তন হয়,বিশেষ করে  ক্রনিক রোগ থাকলে তা পর্যবেক্ষণ করে। সম্ভাব্য কী কী সমস্যা হতে পারে তাও এই পরীক্ষার মাধ্যমে বোঝা যায়। সামনে পিছনে- দুইভাবেই ছয় মিনিটের হাঁটার পরীক্ষা করা হয়।

পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ৩০ মিটার রাস্তা ছয় মিনিটের মধ্যে সামনে ও পিছনে হাঁটতে বলা হয়। সমগ্র পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা কতটা দূরত্ব হাঁটতে পারছেন, হার্ট রেট, অক্সিজেন স্যাচুরেশনের মাত্রা মনিটর করেন বিশেষজ্ঞরা। বয়স ও লিঙ্গ অনুযায়ী যতটা পরিমাপ হওয়া উচিত তার সঙ্গে সেই পরীক্ষার তথ্য তুলনা করা হয়। 

যদিও প্রায় সকলেই এই পরীক্ষা করতে পারেন। তবে কারওর অনিয়ন্ত্রিত হাইপারটেনশন, প্রতি মিনিটে ১২০-র বেশি হৃদস্পন্দন থাকলে কিংবা সম্প্রতি সার্জারি, জয়েন্টের সমস্যা, পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকলে ৬ মিনিটের হাঁটার পরীক্ষা না করাই উচিত।