আজকাল ওয়েব ডেস্ক: আজকাল অল্প বয়স থেকেই শরীরে বাসা বাঁধছে একাধিক ক্রনিক রোগ। মুঠো মুঠো ওষুধ খেয়েও মিলছে না স্বস্তি। তাই ওষুধের সঙ্গে প্রাকৃতিকভাবেও সুস্থ থাকার চেষ্টা করা দরকার। আসলে প্রকৃতির মধ্যে লুকিয়ে আছে শরীর ঠিক রাখার জাদু মন্ত্র। শাক-সবজি থেকে ফল, সব কিছুতেই রয়েছে নানা গুণ। যার একটি অন্যতম হল মাশরুম। কয়েক বছর আগেও আমাদের রাজ্যে মাশরুম খাওয়ার তেমন একটা চল ছিল না। শুধুমাত্র বড় বড় রেস্তরাঁতে গেলেই এই খাবারের দেখা মিলত। তবে বর্তমানে অনেক গৃহস্থ বাড়িতেই নিয়মিত মাশরুম রান্না করা হয়। তবে যাঁরা মাশরুমকে ব্যাঙের ছাতা ভেবে এড়িয়ে যান, তাঁরা কিন্তু বড়সড় ভুল করেন! কারণ এতে রয়েছে পুষ্টির ভাণ্ডার। তাহলে নিয়মিত মাশরুম খেলে কী কী উপকার পাওয়া যায়? জেনে নিন।
ইদানীং ব্লাড প্রেশার বেড়ে যাওয়ার সমস্যায় আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। এ দেশের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই হাইপ্রেশারের রোগীর দেখা মেলে। আর এই অসুখের কারণে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক সহ বিভিন্ন ঘাতক সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে পটাশিয়াম যুক্ত মাশরুম খেলে এই সমস্যা কমে। উচ্চ রক্ত চাপ থাকলে মাশরুমের তরকারি খেতে পারেন।
মাশরুমে রয়েছে অ্যান্টিইনফ্লেমটরি উপাদান। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মাশরুম খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ফলে সর্দি-কাশি, জ্বর থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। মাশরুমের সেলোনিয়াম ইমিউনিটি বাড়ায়। ওজন বেশি থাকাটা বিভিন্ন অসুখের কারণ। ওজন বাড়লে ডায়াবিটিস, হাইপ্রেশার, কোলেস্টেরল সহ বিভিন্ন অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। মাশরুম খেলে কমে বাড়তি মেদও।
ইদানীং একটু বয়স বাড়লে হাড়ের সমস্যা দেখা যায়। মহিলাদের মধ্যে এই অসুখে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেশি। আসলে মাশরুমের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ডি। এই ভিটামিন হাড়ের রোগের প্রকোপ কমায়। তাই বাতের ব্যথায় ভুক্তোভোগীরা অবশ্যই মাশরুম খান।
শরীরে রক্তের অভাব দূর করতেও মাশরুম কাজে দেয়। এতে আয়রন এবং ফলিক অ্যাসিডও আছে। যা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও চুল পড়ে যাওয়া, বয়স ধরে রাখতেও মাশরুম খেতে পারেন। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন মাশরুম খেতে পারেন।
