আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ মণিপুরে ক্রমাগত চলছে জঙ্গি হামলা। ড্রোন হামলার পাশাপাশি চলছে মিসাইল হামলাও। এই যখন পরিস্থিতি, তখন শনিবার থেকে সম্ভাব্য জঙ্গি ডেরাগুলির সন্ধানে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে মণিপুর পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী। ধ্বংস করা হয়েছে জঙ্গিদের তিনটি বাঙ্কার। এই অভিযানের মাঝেই জিরিবাম জেলায় দুই গোষ্ঠীর গুলির লড়াইয়ে অন্তত পাঁচ জন মারা গেছেন। 

 

 

 


প্রসঙ্গত, গত ১ ও ২ সেপ্টেম্বর কাংপোকপি এবং পশ্চিম ইম্ফল জেলায় বিস্ফোরক বোঝাই ড্রোনের হামলায় মারা যান দু’জন। আহত হত সাত জন। হামলাগুলি হয়েছিল মেইতেই জনগোষ্ঠীর এলাকায়। মণিপুর সরকারের দাবি ছিল, কুকি জঙ্গিরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। গত শুক্রবার বিকেলে বিষ্ণুপুর জেলার মৈরাংয়ে ফিওয়াংবাম লেইকাই এলাকায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মৈরেম্বাম কৈরেং সিংয়ের বাড়ির চত্বরে মিসাইল ছোঁড়া হয়। মারা যান আর রে রাবেই (৭০) নামে স্থানীয় এক বয়স্ক পুরোহিত। জখম হন কয়েক জন। এই হামলার পর মেইতেইদের দাবি ছিল, কুকিরাই এই হামলা চালিয়েছে। কিন্তু কুকিরা দাবি করে মেইতেইরা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। এই পরিস্থিতিতে বিষ্ণুপুর এবং চূড়াচাঁদপুর এলাকার বিভিন্ন এলাকায় শনিবার সকাল থেকে তল্লাশি অভিযান শুরু হতেই শুরু হয় বিতর্ক। কুকি সংগঠনগুলির অভিযোগ, পুলিশ এবং মেইতেই জঙ্গিরা সংগঠিতভাবে এলাকা দখলের অভিযানে নেমেছে। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে মণিপুর পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, বিষ্ণুপুর জেলার মুয়ালসাং গ্রামে দু’টি এবং চুড়াচাঁদপুরের লাইকা মুয়ালসাউ গ্রামে একটি বাঙ্কার ধ্বংস করা হয়েছে। সেগুলি কুকি জঙ্গিদের ডেরা বলে দাবি করেছে পুলিশ।