সম্পূর্ণা চক্রবর্তী: ২০০৩ সালের বদলা নেওয়ার জন্য তৈরি ভারত। টানা দশ জয়। অশ্বমেধের ঘোড়া ছুটছে। ২০০৩ এবং ২০০৭ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া যে দুর্ধর্ষ ফর্মে ছিল, ঠিক সেই জায়গায় টিম ইন্ডিয়া। ঘরের মাঠে ফাইনাল।‌ সঙ্গে ১ লক্ষ ৩০ হাজার সমর্থক। সবদিক থেকেই এগিয়ে রোহিতরা‌। এই চ্যালেঞ্জ সামলানোর জন্য কতটা তৈরি অস্ট্রেলিয়া? প্যাট কামিন্স বলেন, "২০০৩ বিশ্বকাপের কোনও প্লেয়ারই এই দলে নেই। তাই ওটা অনেক আগে ঘটে গিয়েছে। তবে আমরা জানি স্টেডিয়াম ফুল হাউস হবে। ১ লক্ষ ৩০ হাজার ফ্যান ভারতের হয়ে গলা ফাটাবে। দারুণ পরিবেশ থাকবে। জানি একতরফা সমর্থন থাকবে। তবে এই বৃহৎ সমর্থনকে স্তব্ধ করানোর তৃপ্তি আলাদা। এটাই আমাদের লক্ষ্য থাকবে। ভারত খুব ভাল খেলছে। এখনও অপরাজিত। তবে আমরা নিজেদের খেলাটা খেলতে পারলে ওদের একটা ধাক্কা দিতে পারব। গত দু"বছরে একাধিকবার আমরা ভারতের বিরুদ্ধে সাফল্যের সঙ্গে খেলেছি। আশা করি উপভোগ্য ফাইনাল হবে।" 

বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে হারতে হয়েছে। তবে শুরুতে তিন উইকেট তুলে নিয়ে ধাক্কা দিয়েছিল অজিরা। মিচেল মার্শ সেদিন বিরাট কোহলির ক্যাচ না ফেললে কি হত বলা মুশকিল। বছরের শুরুতে ভারতের মাটিতে রোহিতদের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজ জেতে অস্ট্রেলিয়া। তাই নিজেদের খুব বেশি পিছিয়ে রাখছেন না কামিন্স। হাই স্কোরিং ম্যাচের আশায় কামিন্স। ভারতীয় পিচে শুরুতে বল সুইং করলেও পরের দিকে কোনও মুভমেন্ট থাকে না। এটা যেমন ব্যাটারদের সুবিধা, উল্টোটা বোলারদের ক্ষেত্রে। পিচ নিয়ে খুশি কামিন্স। কোনও অভিযোগ নেই।

টসে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন না। জানান, ওয়াংখেড়ে বা অন্যান্য মাঠের মতো টসে ফ্যাক্টর হবে না। তবে শিশির নিয়ে চিন্তিত। ফাইনাল খেললেও চলতি বিশ্বকাপে আহামরি পারফরম্যান্স নেই অজিদের। একটা সময় সেমিফাইনালও নিশ্চিত ছিল না। কিন্তু অতীত বলছে, আইসিসি ট্রফির ফাইনালে ভয়ঙ্কর অস্ট্রেলিয়া। সেই ট্যাগ এবং বিশ্বকাপে খেলার যাবতীয় অভিজ্ঞতা নিয়ে পাশা বদলে দিতে চান কামিন্স। কোনও ম্যাচেই উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স না থাকলেও প্রয়োজনে কেউ না কেউ খেলে দিচ্ছে, এটাই অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়কের বড় ভরসা। অস্ট্রেলিয়া দলে ১৫ জনের মধ্যে প্রায় ১২ জনের বিশ্বকাপ (টি-২০ বিশ্বকাপ নিয়ে) জেতার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এটাই ইতিবাচক দিক। এই আত্মবিশ্বাসের ফানুসে চড়েই স্বপ্নের উড়ানে ওড়ার আশায় কামিন্স।