আজকাল ওয়েবডেস্ক: কেরালার ওয়েনাড মৃত্যুমিছিল দেখেছে। জলে স্রোতে মানুষকে ভেসে যেতে দেখেছে। হাসপাতালে রোগীদের ময়নাতদন্ত করতে আসা চিকিৎসকদের ভয় দেখেছে। তবে সাক্ষাৎ যমদূতের মনেও যে দয়া আসতে পারে তার নিদর্শন বোধহয় এই প্রথম দেখল ওয়েনাড।


হাতির পায়ের কাছে সারারাত কাটিয়েও প্রাণে রক্ষা পেলেন এক বয়স্ক মহিলা। নিজের নাতনিকে সঙ্গে নিয়ে সারারাত তিনি কাটিয়ে দিলেন হাতির পায়ের তলায়। তাঁদেরকে রক্ষা করল হাতিদুটি। সত্যি, এমন ঘটনাও ঘটে। সুজাতা নামে ওই বয়স্ক মহিলা তখন নিজের পরিবারকে ধসের কবল থেকে বাঁচাতে ব্যস্ত। গোটা পরিবার আটকে রয়েছে ধসের কবলে। ধীরে ধীরে সেখান থেকে নিজেকে বের করলেন সুজাতা, সঙ্গে তার ছোট্ট নাতনি। তবে এরপরই সামনে হাজির দুই যমদূত।

দুটি মহিলা হাতিকে সামনে দেখে সেদিন সুজাতা নিজের নাতনিকে জাপটে ধরে তাঁদের কাছে কাতর প্রার্থনা করেছিলেন। উচ্চস্বরে তাঁদের বলেছিলেন, সদ্য আমি ধসের কবল থেকে নিজের নাতনিকে রক্ষা করেছি। আজকের রাতটা এখানে থাকতে দাও। সকালে কেউ না কেউ আমাদের উদ্ধার করে নিয়ে যাবে। আসলে মানুষ মানুষের অসহায় পরিস্থিতির সুযোগ নিতে পারে কিন্তু পশুরা এখনও সেটা পারে না। সেটাই যেন মিরাকল হয়ে দেখা গেল ওয়েনাডে। সারা রাত দুজনকে একবারের জন্যেও বিরক্ত করেনি ওই দুটি হাতি।

সকালে এসে দুজনকেই উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়। ত্রাণশিবিরে এসে সেদিনের সেই আতঙ্ক এখনও বৃদ্ধার চোখেমুখে। সেদিনের হাতিদুটি বুঝেছিল মানুষের অসহায়তার কথা। তাই তারা কোনও ক্ষতি করেনি। কিন্তু মানুষ কবে বুঝবে নিজেদের দায়িত্ব? আদৌ কী বুঝবে ?