সমীর ধর, আগরতলা : অদ্ভুতুড়ে কান্ডই বটে ! ছেলের দেহ শ্মশানে দাহ করে বাড়ি ফেরার পথে মা-বাবা দেখেন ছেলে দোকানে বসে আয়েস করে চা খাচ্ছে !
ছেলের মৃত্যুর খবর পাওয়া থেকে যে মা এতো কেঁদেছেন, তাঁর হতবিহ্বল কন্ঠস্বর থেকে শুধু বেরিয়ে এল, 'তোকে যে এইমাত্র পুড়িয়ে এলাম...'!
এমনই এক বেনজির ঘটনা ঘিরে তোলপাড় ত্রিপুরার রাজধানী শহর আগরতলা। সংবাদ মাধ্যম মুন্ডুপাত করছে পুলিশের। আর মা-বাবার প্রতি সাধারণ মানুষের সহানুভূতি মুহূর্তে বদলে গেছে ধিক্কারে।
বৃহস্পতিবার সকালে শহরের পশ্চিম কোতোয়ালি থানার অদূরে হাওড়া নদীর ঝুলন্ত পুল এলাকায় এক যুবকের ফাঁসিতে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তারাই সংবাদ মাধ্যমকে জানায়, দেহটি প্রতাপগড়ের নেশারু যুবক ২৫ বছর বয়সী মিঠুন সরকারের। সে কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিল। স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে একটি সন্তান ফেলে বাপের বাড়ি চলে গেছে। শুক্রবার প্রায় সব প্রভাতী সংবাদপত্রে মিঠুনের মৃত্যুসংবাদ প্রকাশিত হয়। মা-বাবাকে ডেকে এনে মৃতদেহ শনাক্তও নাকি করিয়ে নিয়েছিল পুলিশ। ময়না তদন্তের পর কাপড়ে মোড়ানো দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। প্রচুর কান্নাকাটির পর শুক্রবার বটতলা শ্মশানে নিয়ে দেহ দাহ করা হয়। কিন্তু বাড়ি ফেরার পথে 'ভুত' দেখার মতো কান্ড ! চা দোকান থেকে বেঁচে থাকা মিঠুনকে নিয়ে থানায় ছোটেন বাবা-মা। অভিযোগ, থানাবাবুরা সাহায্য করার বদলে মিঠুন ও তার বাবা-মাকে ঘটনাটি চেপে যেতে বলে। মিঠুনকে 'মৃত' দেখাতেই যেন তারা ব্যস্ত হয়ে ওঠেন বলে অভিযোগ। দাহ করা দেহটি কার এখনও বার করতে পারেনি পুলিশ। আরও মারাত্মক অভিযোগ, দেহ ময়না তদন্তে পাঠানোর আগে আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড মিলিয়ে মৃত ব্যক্তিকে শনাক্ত করার নিয়মও মানেনি পুলিশ !
এদিকে, 'নেশারু মিঠুন' সব ঘটনা শুনে গভীর অভিমানে একবার কেবল মা-কে শুধিয়েছে, 'নিজের ছেলেকেও চিনতে পারলে না'?
গর্ভধারিণীর কাছে এই প্রশ্নের কোনও জবাব ছিল না।
ছেলের মৃত্যুর খবর পাওয়া থেকে যে মা এতো কেঁদেছেন, তাঁর হতবিহ্বল কন্ঠস্বর থেকে শুধু বেরিয়ে এল, 'তোকে যে এইমাত্র পুড়িয়ে এলাম...'!
এমনই এক বেনজির ঘটনা ঘিরে তোলপাড় ত্রিপুরার রাজধানী শহর আগরতলা। সংবাদ মাধ্যম মুন্ডুপাত করছে পুলিশের। আর মা-বাবার প্রতি সাধারণ মানুষের সহানুভূতি মুহূর্তে বদলে গেছে ধিক্কারে।
বৃহস্পতিবার সকালে শহরের পশ্চিম কোতোয়ালি থানার অদূরে হাওড়া নদীর ঝুলন্ত পুল এলাকায় এক যুবকের ফাঁসিতে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তারাই সংবাদ মাধ্যমকে জানায়, দেহটি প্রতাপগড়ের নেশারু যুবক ২৫ বছর বয়সী মিঠুন সরকারের। সে কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিল। স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে একটি সন্তান ফেলে বাপের বাড়ি চলে গেছে। শুক্রবার প্রায় সব প্রভাতী সংবাদপত্রে মিঠুনের মৃত্যুসংবাদ প্রকাশিত হয়। মা-বাবাকে ডেকে এনে মৃতদেহ শনাক্তও নাকি করিয়ে নিয়েছিল পুলিশ। ময়না তদন্তের পর কাপড়ে মোড়ানো দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। প্রচুর কান্নাকাটির পর শুক্রবার বটতলা শ্মশানে নিয়ে দেহ দাহ করা হয়। কিন্তু বাড়ি ফেরার পথে 'ভুত' দেখার মতো কান্ড ! চা দোকান থেকে বেঁচে থাকা মিঠুনকে নিয়ে থানায় ছোটেন বাবা-মা। অভিযোগ, থানাবাবুরা সাহায্য করার বদলে মিঠুন ও তার বাবা-মাকে ঘটনাটি চেপে যেতে বলে। মিঠুনকে 'মৃত' দেখাতেই যেন তারা ব্যস্ত হয়ে ওঠেন বলে অভিযোগ। দাহ করা দেহটি কার এখনও বার করতে পারেনি পুলিশ। আরও মারাত্মক অভিযোগ, দেহ ময়না তদন্তে পাঠানোর আগে আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড মিলিয়ে মৃত ব্যক্তিকে শনাক্ত করার নিয়মও মানেনি পুলিশ !
এদিকে, 'নেশারু মিঠুন' সব ঘটনা শুনে গভীর অভিমানে একবার কেবল মা-কে শুধিয়েছে, 'নিজের ছেলেকেও চিনতে পারলে না'?
গর্ভধারিণীর কাছে এই প্রশ্নের কোনও জবাব ছিল না।
