আজকাল ওয়েবডেস্ক: গ্রীষ্মের তাপ থেকে স্বস্তি দেয় বর্ষা। সে কথা ঠিক। তবে এই মরশুমে আর্দ্রতা বৃদ্ধির কারণে বিভিন্ন সংক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ে। বিশেষ করে চোখের সংক্রমণ। যা অবিলম্বে সমাধান না করলে অস্বস্তি এবং সম্ভাব্য জটিলতা বাড়িয়ে দিতে পারে।
কী কী সমস্যা হয়?
১. কনজেক্টিভাইটিস
জিরো ভাইরাল কনজাঙ্কটিভাইটিস  অত্যন্ত সংক্রামক একটি ভাইরাস যা যোগাযোগের মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে চোখের লালভাব, চোখ দিয়ে জল পড়া এবং জ্বালা। পাশাপাশি ব্যাকটেরিয়ার কারণে চোখ ফুলে যায় এবং আঠালো ডিসচার্জ হতে থাকে।
২. স্টাই
 চোখের পাতার প্রান্তের কাছে একটি বেদনাদায়ক, লাল ফুসকুড়ির মতো হয়। যা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে ঘটে। এটি ফোলা, ব্যথা এবং অস্বস্তির কারণ হয়ে ওঠে।
৩. ড্ৰাই আইজ
আর্দ্রতা ও আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে অনেক সময় চোখ শুকিয়ে যায়। ফলে ব্যথা লালভাব এবং ঝাপসা হয়ে যায় দৃষ্টি।
৪. কেরাটাইটিস
নির্দিষ্ট ছত্রাকের সংক্রমণ থেকে এই সমস্যা হয়।
কী করবেন?
১. ত্রিফলা জল দিয়ে চোখ ধুতে পারেন। এটি একটি আয়ুর্বেদিক কৌশল। ত্রিফলা জল দিয়ে চোখ ধুলে জ্বালা প্রশমিত হয়, প্রদাহ কমে। ত্রিফলা গুঁড়ো সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ছেঁকে নিন এবং আপনার চোখ ধোয়ার জন্য ব্যবহার করুন।
২. সংক্রমণের ধরনের উপর নির্ভর করে, ঠান্ডা বা গরম স্পঞ্জিং উপশম করতে পারে। ভাইরাল এবং অ্যালার্জিক কনজাঙ্কটিভাইটিসের জন্য কার্যকর গরম স্পঞ্জিং।  চুলকানি, লালভাব এবং ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে ঠান্ডা স্পঞ্জিং। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই কাজটি করা উচিত।
৩. চোখের লালভাব কমাতে খুব অল্প খাঁটি ঘি নিন। চোখের চারপাশে আলতো ভাবে ম্যাসাজ করুন। এটা চোখের সংক্রমণের চিকিৎসায় ঘরোয়া একটি প্রতিকার।