মিল্টন সেন, হুগলি: ঝড়ের তীব্রতায় গাছ ভেঙে পড়লে, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হলে বা বহুতলে আগুন লাগলে আর মই নিয়ে দৌড়তে হবে না। হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার স্কাই লিফটার সেই কাজ করবে অনায়াসে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করার দিন আর নেই। আর মই ব্যবহার করে এই সমস্ত জরুরি পরিষেবায় সময়ও লাগে অনেক বেশি। যা জেলা সদরের বাসিন্দারা অতীতের আয়লা, ফনি, আমফান অথবা সাম্প্রতিক কালের রেমালের মত ঘূর্নিঝড়ের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ করেছে। শহরের একাধিক জায়গায় গাছ ভেঙে পড়ে, বিদ্যুৎ এর তার ছিঁড়ে বিপর্যস্ত হয়েছে জনজীবন। পরিষেবা স্বাভাবিক কিরে তুলতে সম্পূর্ণ শক্তি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছে পুরসভা। তবুও অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে দুর্ভোগ। সাধারণত শহরাঞ্চলে গাছপালা ভেঙে পড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হলে তা ফেরাতে সময় লাগে। কারণ পুরোনো কায়দায় মই ব্যবহার করে পরিষেবা স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে নানা সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় দেখা গেছে বহুতলে অগ্নিকাণ্ডের সময়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে বিল্ডিংয়ের ভেতরে ঢুকে আগুন নিষ্ক্রিয় করতে সমস্যায় পড়েছে দমকল। এবার আর সেই প্রয়োজন হবে না, স্কাই লিফটার ব্যবহার করে বাইরে থেকেই আগুন নেভানো এবং উদ্ধার কাজ করা সম্ভব হবে। মহানগর কলকাতার মত বড় শহরে স্কাই লিফটার থাকলেও মফস্বল শহরে সেই সুবিধে ছিল না। সম্প্রতি হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার তরফে বোর্ড মিটিং করে এই হাইড্রা মেশিন কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শনিবার সেই মেশিনের ডেমনস্ট্রেশন হয় পুরসভায়। ত্রিশ ফুট উচ্চতায় তিনশ ষাট ডিগ্রি ঘুরে কাজ করতে সক্ষম স্কাই লিফটার। উঁচু গাছকে ট্রিম করা থেকে হাইমাস্ট লাইট ঠিক করা বা অগ্নিকাণ্ড অথবা স্ট্রিট লাইট ঠিক করা, খুব সহজেই কাজ করতে পারবে স্কাই লিফটার।
এদিন পুরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায় এবং স্বাস্থ্য দপ্তরে সিআইসি জয়েদব অধিকারী জানিয়েছেন, আগামীদিনে যে কোনও বিপর্যয়ের পরবর্তী সময়ে দ্রুত নাগরিক পরিষেবা স্বাভাবিক করে তোলার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা নেবে। একইসঙ্গে এই মেশিন আগুন নেভানোর ক্ষেত্রেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। পুরসভার তরফে কোনও সরকারি সংস্থা বা ব্যাক্তিগত প্রয়োজনেও স্কাই লিফটার ভারা দেওয়ার ব্যাবস্থাও রাখা হয়েছে।
ছবি পার্থ রাহা।