নিজস্ব সংবাদদাতা: মা বাবাকে সঙ্গে নিয়ে রেস্তোরাঁয় প্রথম জামাইষষ্ঠী উদযাপন করলেন টলিপাড়ার নবদম্পতি রূপাঞ্জনা মিত্র এবং রাতুল মুখোপাধ্যায়। এই গরমে বাবা মা কে কষ্ট না দিয়ে বরং রেস্তোরাঁয় জমে উঠলো থালা সাজিয়ে একসঙ্গে বসে খাওয়া দাওয়া এবং গল্প আড্ডা।

বিয়ের পর রূপাঞ্জনা রাতুলের প্রথম জামাই ষষ্ঠী। তবে রাতুল আসলে মিত্র পরিবারের জামাই নন বরং ছেলে হয়ে উঠেছেন বহুদিন আগেই। ছ'বছরের এই বন্ধুত্বের সম্পর্ক যে শুধুমাত্রই রূপাঞ্জনার সঙ্গে নয়, তাঁর মা বাবার সঙ্গেও তা বেশ বোঝা গেল এদিন। আজকাল ডট ইন-কে রাতুল জানালেন, "প্রায়দিনই শাশুড়িমায়ের হাতে এত রান্না খাই, তাই এই দিনটা আলাদা করে নানান পদের রান্না খেতে হবে এরকম বিষয়টা নেই, যে কোন রান্নাই এত স্বাদের যে কোনটা সবচেয়ে পছন্দের সেটা বলা বেশ কঠিন।"

রূপাঞ্জনার কাছে এই দিনটা জামাইষষ্ঠীর চেয়ে আসলে জামাই আদরের দিন। তিনি বললেন,"আসলে এই ছ'বছরে আমার পরিবারের ছেলে হয়ে উঠেছে রাতুল। বিশ্বাস, ভরসা এবং ভালবাসাও বেড়েছে দিনে দিনে। আমি, মা, বা,বা রাতুল ঘন্টার পর ঘন্টা গল্প করে কাটিয়ে দিতে পারি, এই আড্ডার মধ্যেও শিল্পচর্চা হয়।"

এই বিশেষ দিনে শ্বশুর ও শাশুড়ির দেওয়া পাঞ্জাবি পরেছিলেন রাতুল। শ্বশুর ও শাশুড়িকেও দিলেন পাঞ্জাবি ও শাড়ি। জামাইয়ের দেওয়া শাড়ি এতটাই পছন্দ যে দুর্গা পুজোর ষষ্ঠীর জন্য তুলে রাখবেন, এমনটাই জানালেন রূপাঞ্জনা মিত্রর মা। তবে উপহার পাওয়া থেকে বাদ যাননি রূপাঞ্জনাও। স্ত্রীর আবদারে অসময়ে অনেক খুঁজে বেলফুলের মালা নিয়ে এসেছেন রাতুল। যে কোনও বিশেষ দিন নিজের কাছের মানুষদের নিয়ে এমনভাবেই ভালবাসায় কাটাতে চান। একে অপরের সঙ্গে আরো বেঁধে থাকতে চান রূপাঞ্জনা। তা সে বাড়িই হোক বা রেস্তোরাঁ। সকালবেলা ছেলের জন্য ষষ্ঠীর নিয়ম পালন করে অবশেষে বিকেলে প্রথম জামাইষষ্ঠী দারুণভাবে উদযাপন করলেন রাতুল-রূপাঞ্জনা।