মিল্টন সেন,হুগলি: কৌশলে কার্ড বদল করে চলত প্রতারণার কারবার। দীর্ঘ সময় ধরেই হুগলিতে এই করবার ফেঁদে বসেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রতারণা চক্র। চন্দননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের তরফে চলছিল এই চক্রের খোঁজ। রবিবার শ্রীরামপুরের পুলিশের হাতে ধরা পড়ল পাঁচ প্রতারক। উদ্ধার হল ২০০ টি এটিএম কার্ড।
পুলিশ সূত্রে খবর, ৪ মার্চ শ্রীরামপুরের মাহেশে একটি এটিএমে টাকা তুলতে যান মঞ্জু মন্ডল নামে এক প্রৌঢ়া। এটিএম কিয়স্ককে টাকা তোলার সময় তাঁকে সাহায্য করার নাম করে এটিএম কার্ড বদল করে নেয় প্রতারক এক যুবক। এরপর কোন্নগরের একটি এটিএম থেকে ওই প্রৌঢ়ার অ্যাকাউন্ট থেকে ৪০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়। ব্যাঙ্কের পাস বই আপডেট করতে গিয়ে বিষয়টি দেখতে পান প্রৌঢ়া। এরপর তিনি দেখেন তার কার্ড বদল করে দেওয়া হয়েছে। শ্রীরামপুর থানায় অভিযোগ জানান প্রৌঢ়া। অভিযোগের ভিত্তিতে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ ও চন্দননগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ঘটনার তদন্তে শুরু করে। তদন্তে নেমে সিসি ক্যামেরার সূত্র ধরে একটি চার চাকা গাড়িকে চিহ্নিত করে পুলিশ। খোঁজ শুরু হয় সেই গাড়ির। এদিন শ্রীরামপুর নগার মোড়ে নাকা চেকিং করার সময় সেই গাড়িকে আটক করে পুলিশ। তল্লাশি চালিয়ে গাড়ি থেকে ২০০ টি বিভিন্ন ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ড উদ্ধার হয়। রাজু বর্মন, শুভম মাল, সঞ্জিব মাইতি, সুবীর সেখ ও সনৎ নস্করকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে ধৃত সকলের বাড়ি বারুইপুর ও রায়দিঘী এলাকায়। ডিসিপি শ্রীরামপুর অর্নব বিশ্বাস বলেন, ধৃতদের এদিন শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করে দশ দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ডিসি আরও জানিয়েছেন, এই প্রতারণা চক্রের মূল টার্গেট ছিল বয়স্ক মানুষ। যারা এটিএম ভাল করে ব্যবহার করতে পারেন না তাঁদেরকেই টার্গেট করা হত। প্রতারকরা এটিএম কিয়স্কের সামনে দাঁড়িয়ে থাকত। ইদানিং এই কাজের জন্য ওই চক্র একটি চার চাকার গাড়ি ভাড়া করে। সেই গাড়িটি পাঁচশ টাকা দৈনিক ভাড়ায় ব্যবহার করত প্রতারকরা। এদিন সেই গাড়ির সূত্র ধরেই অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।