আজকাল ওয়েবডেস্ক: হ্যান্ডশেক বিতর্ক নিয়ে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। পাকিস্তানের অ্যান্ডি পাইক্রফটকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি পরিস্থিতি আরও জটিল করে। যা প্রথমে খারিজ করে দেয় আইসিসি। যার ফলে এশিয়া কাপ থেকে নাম প্রত্যাহার করার হুমকি দেয় পাকিস্তান। এরপর আসরে নামেন আইসিসির সিইও সংযোগ গুপ্ত। পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি এবং সিওও সলমন নাসিরের সঙ্গে মধ্যস্থতা করেন তিনি। পিসিবির দাবি ছিল, ভারত-পাক হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে নিয়মভঙ্গ করেন পাইক্রফট। জানানো হয়, তিনি দুই অধিনায়ককে হাত মেলানোর জন্য জোর করেননি। যদিও একাধিক ইমেল আদান প্রদানের পর জানিয়ে দেওয়া হয়, জিম্বাবোয়ের ম্যাচ অফিসিয়ালের কোনও দোষ নেই। যার পরিপ্রেক্ষিতে এশিয়া কাপ থেকে নাম তুলে নেওয়ার হুমকি দেয় পাকিস্তান। ম্যাচের দিন প্লেয়ারদের কিটস বাসে উঠে গেলেও ক্রিকেটাররা ওঠে কিছুক্ষণ পর। যার ফলে শেষমেষ পাইক্রফটের বদলে পাকিস্তানের ম্যাচে রিচি রিচার্ডসনকে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়। রাত আটটার পরিবর্তে ন'টায় শুরু হয় ম্যাচ।
পাকিস্তান এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ম্যাচের টসের আগে মাঠে পাইক্রফটকে দেখা যায়। আইসিসি প্রাথমিক তদন্তে রাজি হয়ে গেলেও, সাময়িকভাবে পাইক্রফটকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে রাজি ছিলেন না সংযোগ গুপ্ত। কোনও প্রমাণ ছাড়া এই পদক্ষেপে রাজি ছিলেন না। তিনি মনে করেন, এটা খারাপ উদাহরণ সৃষ্টি করবে। কিন্তু শেষপর্যন্ত পাকিস্তানের কথা মেনে পাইক্রফটকে সরিয়ে দেওয়া হয়। গোটা বিষয়টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন সংযোগ গুপ্ত? কে এই ব্যক্তি? চলতি বছরের ৭ জুলাই আইসিসির সিইওর পদে যোগ দেন তিনি। স্পোর্টস প্রশাসন এবং ব্রডকাস্টিংয়ে ২০১০ সালে স্টার ইন্ডিয়ায় যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিক ছিলেন। তারপর কন্টেন্ট, প্রোগ্রামিং এবং স্ট্র্যাটেজিতে লিডারশিপের ভূমিকায় ছিলেন। ২০২০ সালে স্পোর্টস অ্যাট ডিজনি এবং স্টার ইন্ডিয়ায় যোগ দেন। মহিলা কেন্দ্রিক ম্যাচ সম্প্রচারের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। আইসিসি টুর্নামেন্ট এবং আইপিএলের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। প্রো কাবাডি লিগ এবং ইন্ডিয়ান সুপার লিগের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। স্টার টিভি নেটওয়ার্কের সঙ্গে প্রায় ১৫ বছর ধরে যুক্ত ছিলেন। সেখান থেকে আইসিসিতে যোগ দেন।
