কৌশিক রায়
শক্তিশালী ডালহৌসি অ্যাথলেটিক ক্লাবকে ২-১ গোলে হারাল ইউনাইটেড কলকাতা স্পোর্টস ক্লাব। জোড়া গোল করে ম্যাচের নায়ক কেরালাইট রাহুল ভিপি। যেমন দুর্দান্ত পায়ের কাজ, তেমন দুর্দান্ত ফিনিশিং। মঙ্গলবার কল্যাণীতে ইউকেএসসি মুখোমুখি হয়েছিল ডালহৌসির। বৃষ্টির কারণে এদিন মাঠের অবস্থা খুব একটা ভাল ছিল না। ফলে, শুরুতে দুই দলই সাবধান হয়ে ফুটবল খেলছিলেন। চোটের ভয়ে ছাড়াও বলের বাউন্স ছিল অসমান। তবে ইউকেএসসি কোচ দীপক মণ্ডলের প্রধান অস্ত্রই পাসিং ফুটবল।
খেলা চলাকালীন অধিনায়ক রাকেশ এবং সেন্টার ব্যাক সমীরের গলায় বারবার শোনা গিয়েছে, লং বল নয়, ছোট ছোট পাস খেলে অ্যাটাকে উঠতে। প্রথমার্ধে কোনও দলই বেশি সুযোগ পায়নি। গোলের সামনে বারদুয়েক সুযোগ এলেও ফিনিশ হয়নি কোনও দলেরই। ০-০ অবস্থাতেই শেষ হয় প্রথমার্ধ। দ্বিতীয়ার্ধে তুলনামূলক অনেক কম লং বল খেলে ছোট পাস খেলে অ্যাটাকে উঠছিলেন ইউনাইটেড কলকাতার ফুটবলাররা। ফলে,বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল প্রতিপক্ষকে। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে মোক্ষম চাল এল ইউকেএসসি কোচ দীপক মণ্ডলের পকেট থেকে। আক্রমণ বাড়ানোর জন্য একসঙ্গে তিনটি পরিবর্তনই মাস্টার স্ট্রোক।
গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ৮০ মিনিটের মাথায় বাড়ানো ক্রস পায়ে রিসিভ করে ছোট্ট ডজে ডালহৌসি রক্ষকের পাশ দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন রাহুল। তাতেও ইউকেএসসির আক্রমণের ঝাঁঝ কমেনি তো বটেই বরং আরও বেড়ে যায়। তার ফলও মেলে হাতেনাতে। জয় ভট্টাচার্যর ক্রস রিসিভ করে মাপা শটে দ্বিতীয় পোস্টের কোনায় বল ঢুকিয়ে দেন রাহুল। ইনজুরি টাইমে ডালহৌসি পেনাল্টি পেলেও তা আদৌ বৈধ কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
ফুটবলারদের মতে, বল বুকে লেগেছিল। পেনাল্টি থেকে ডালহৌসি ব্যবধান কমালেও দ্বিতীয় গোল আর পায়নি তাঁরা। কোচ দীপক মণ্ডল জানান, 'অনুশীলনেও পাসিং ফুটবল খেলিয়েছি ফুটবলারদের। দ্বিতীয়ার্ধের পরিবর্তনগুলো কাজে লেগেছে। তবে এখনও টুর্নামেন্ট অনেক বাকি। শক্তিশালী বেশ কিছু টিম রয়েছে। আমরা আত্মবিশ্বাসী, জেতার লক্ষ্যেই নামব।' এই জয়ের পর লিগ টেবিলের তিন নম্বরে রয়েছে ইউনাইটেড কলকাতা। প্রথম ম্যাচে হারের পর দুর্দান্ত কামব্যাক দীপক মণ্ডলের দলের।
