আজকাল ওয়েবডেস্ক: ৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে এশিয়া কাপ। ১০ সেপ্টেম্বর নামবে ভারত। ১৪ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে ভারত–পাক মহারণ। সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বে নামবে টিম ইন্ডিয়া। যারা গতবারের এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন।
গত সপ্তাহেই এশিয়া কাপের দল ঘোষণা করা হয়েছে। শুভমান গিলকে দলে ফেরানো হয়েছে সহ অধিনায়ক করে। কিন্তু জায়গা হয়নি শ্রেয়স আইয়ার, যশস্বী জয়েসওয়ালের মতো ক্রিকেটারের। যা নিয়ে অনেকেই সোচ্চার। কিন্তু অন্য দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও এই বিষয়ে নানা মত ব্যক্ত করছেন। যা একেবারেই ভাল লাগছে না সুনীল গাভাসকারের।
দেশের মিডিয়া সমালোচনা করছে। সেটি তাও বোধগম্য হচ্ছে সানির। কিন্তু বাইরের দেশের ক্রিকেটারদের এই বিষয়ে কেন মতামত থাকবে? সানি বলেছেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেটে যাদের কোনও ভূমিকা নেই। জ্ঞান নেই। তারাও অনেক কথা বলে ফেলছে। কিছুই না। এটা হচ্ছে আগুনে ঘি ঢালা। যতই সেই ক্রিকেটাররা ভারতে খেলুন বা থাকুন। কিন্তু টিম ইন্ডিয়া নিয়ে কথা বলা তাদের এক্তিয়ার নয়। তারা নিজেদের দেশের ক্রিকেট নিয়ে ভাবুক। অথচ যখন নিজের দেশের দল নির্বাচন হয়, তখন কিন্তু ওই ক্রিকেটাররাই চুপ থাকে।’
এরপরই গাভাসকার বলেছেন, ‘নির্বাচন যেমনই হোক। তারা কথা বলবেই। কেন ভাই তোমরা ভারতীয় দল নির্বাচন নিয়ে নাক গলাবে। আমরা তো কখনও অন্য দেশের দল নির্বাচন নিয়ে কথা বলি না। নিজেদের দল নিয়ে ভাবি।’
গাভাসকারের মতে, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিদেশি ক্রিকেটারদের মন্তব্য দেখে ভারতীয়রা প্রতিক্রিয়া দেয়। এতে ওই ক্রিকেটারের রোজগারও ভাল হয়। গাভাসকার বলেছেন, ‘এখনকার দিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিউ ও ফলোয়ার পাওয়াটাই মূল বিষয়। আর ভারতীয়রাও ওই পোস্টে গিয়ে মন্তব্য করে। তাতেই ওই বিদেশিদের পোয়াবারো।’ ভারতীয় মিডিয়াকেও একহাত নিয়েছেন সানি। বলেছেন, ‘আমি এখানে ভারতীয় মিডিয়াকেও দায়ী করব। এখানকার মিডিয়া বিদেশি ক্রিকেটারদের কাছে গিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট ও দল নিয়ে প্রশ্ন করে। অনেক সময় বিদেশ সফরে দেখেছি, ভারতীয় সাংবাদিকরা বিদেশি প্রাক্তনদের ক্রিকেটারদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য ছোটাছুটি করে বেড়ায়। মনে হয় যেন ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ে তাদের মন্তব্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
এটা অবশ্য ঘটনা, এশিয়া কাপের দল ঘোষণা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে ক্রিকেটমহলে। মূলত দুটো বিষয় নিয়ে চর্চা চলছে। এক, শুভমান গিলকে সহ অধিনায়ক করা। দ্বিতীয়ত, শ্রেয়স আইয়ারের বাদ পড়া। মুম্বইয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এশিয়া কাপের দল ঘোষণা করেন বিসিসিআইয়ের মুখ্য নির্বাচক অজিত আগরকার এবং অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। গিলকে নিয়ে চর্চা চলছিলই। শেষমেষ সুযোগ দেওয়া হয় টেস্ট অধিনায়ককে। এশিয়া কাপের দলে রাখা হয় জসপ্রীত বুমরাকে। শ্রেয়স আইয়ার ছাড়াও বাদ পড়েন ওয়াশিংটন সুন্দর এবং প্রসিধ কৃষ্ণা। মনে করা হচ্ছে, টি–২০ বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখেই এই দল গড়া হয়েছে। তবে যারা বাদ পড়েছে, তাঁদের আশা রাখার আশ্বাস দেন অজিত আগরকার। দাবি করেন, এটাই বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দল, এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। টি–২০ বিশ্বকাপের আগে ২০টি ম্যাচ খেলবে টিম ইন্ডিয়া। অর্থাৎ, বাকিদের সুযোগ থাকবে বিশ্বকাপের দলে জায়গা পাওয়ার।
