আজকাল ওয়েবডেস্ক: ওয়ানডে-তে ফিরতে চলেছেন শ্রেয়স আইয়ার। পঞ্চাশ ওভারের ফরম্যাটে তিনি আবার দেশের সহ অধিনায়ক। সব ঠিকঠাক থাকলে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আসন্ন সিরিজে তাঁকে দেখা যেতে পারে। যদি না লাল পতাকা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। কিউয়িদের বিরুদ্ধে সিরিজের দল ঘোষণা এখনও হয়নি।
৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত শ্রেয়স আইয়ার বিসিসিআই-এর সেন্টার অফ এক্সেলেন্সে থাকবেন। তার পর ডান হাতি ব্যাটার মুম্বইয়ের হয়ে বিজয় হাজারে ট্রফির স্কোয়াডে থাকতে পারেন। জানুয়ারির ৩ ও ৬ তারিখ বিজয় হাজারেতে খেলতে পারেন তিনি। তার পরে হয়তো ১১ জানুয়ারি ভারতীয় দলের হয়ে নেমে পড়বেন শ্রেয়স আইয়ার। কিউয়িদের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে ভারত।
মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার এক কর্তা বলেছেন, ''শ্রেয়সকে নিয়ে ইতিবাচক খবর পাচ্ছি। জানুয়ারির ৩ ও ৬ তারিখ মুম্বইয়ের হয়ে দুটি ম্যাচ খেলবে শ্রেয়স। সেন্টার অফ এক্সলেন্স থেকে সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পরে তাঁর পূর্ণাঙ্গ সূচি জানা যাবে। তবে জয়পুরে দুটি ম্যাচ খেলার ব্যাপারে ইতিবাচক ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। নেটে বেশ ভাল ব্যাটিং অনুশীলন করছে শ্রেয়স। অস্বস্তির ছাপ নেই।''
উল্লেখ্য, ২৩ ডিসেম্বর মুম্বইয়ে প্রায় এক ঘণ্টার কাছাকাছি অনুশীলন করেন শ্রেয়স আইয়ার। তার পরে সেন্টার অফ এক্সেলেন্সে যান তিনি। অবশ্য আগেই ফিজিক্যাল ট্রেনিং ও জিম ওয়ার্ক শুরু করে দিয়েছিলেন শ্রেয়স।
সিডনিতে অনুষ্ঠিত ভারত-অস্ট্রেলিয়া তৃতীয় ওয়ানডে-তে ক্যাচ ধরতে গিয়ে মারাত্মক চোট পান শ্রেয়স। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয় তাঁকে।
সেই চোট পুরোদস্তুর না সারায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে দেখা যায়নি শ্রেয়সকে। মুম্বইয়ের হয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতেও খেলতে দেখা যায়নি।
ওয়ানডে দলে শ্রেয়স আইয়ারের প্রত্যাবর্তন ভারতের শক্তিবৃদ্ধি করবে একথা বলে দেওয়াই যায়। ২০২৭ বিশ্বকাপের পরিকল্পনাও তাঁকে নিয়েই হবে বলে মনে করা হচ্ছে। শ্রেয়স আইয়ার চার নম্বরে ব্যাট করেন। তিনি ফিরলে মিডল অর্ডারের শক্তিবৃদ্ধি হবে। আইয়ারের পরিবর্তে রুতুরাজ গায়কোয়াড়কে চার নম্বরে নামানো হয়েছিল। তিনিও সেঞ্চুরি করে নির্বাচকদের কাজটা কঠিন করে দিয়েছেন।
এদিকে বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার মতো তারকা ক্রিকেটাররা দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটেও দুই সিনিয়র ক্রিকেটারের ব্যাট কথা বলছে।
তবে ২০২৭ বিশ্বকাপের এখনও ঢের দেরি। এই দুই তারকা শেষমেশ বিশ্বকাপের দলে জায়গা পান কিনা সেটাই দেখার।
বিরাট ও রোহিতের জন্য ওয়ানডেতে ভারতকে রীতিমতো শক্তিশালী দেখাচ্ছে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও সূর্যকুমার যাদবের ভারত আধিপত্য দেখাচ্ছে। কিন্তু টেস্ট ফরম্যাটে ভারতের রক্তাল্পতা প্রকট হয়ে উঠছে।
