আজকাল ওয়েবডেস্ক: কলকাতা টেস্টের দ্বিতীয় দিনে চোটের ধাক্কা খেল টিম ইন্ডিয়া। শনিবার সকালে ব্যাট করতে নেমে কিছুক্ষণ পরই রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হলেন অধিনায়ক শুভমন গিল।
ওয়াশিংটন সুন্দর আউট হওয়ার পর ৩৫তম ওভারে নেমে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ইনিংসের সূচনা করেছিলেন তিনি। সাইমন হার্মারের বলে দারুণ এক বাউন্ডারিতে ইনিংস শুরু করেন, কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই চোটের কারণে তাকে মাঠ ত্যাগ করতে হয়।
গিলের চোটের প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই মেডিক্যাল বুলেটিন জারি করেছে বিসিসিআই। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের আপডেট অনুযায়ী, গিলের ঘাড়ে ‘নেক স্পাজম’ ধরা পড়েছে।
প্রাথমিক চিকিৎসায় গিল কতটা সাড়া দিচ্ছেন তার ওপর নির্ভর করছে টেস্টের দ্বিতীয় দিনের বাকি অংশে তিনি আর মাঠে নামতে পারবেন কি না।
বোর্ডের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘শুভমন গিলের নেক স্পাজম হয়েছে এবং তাকে বিসিসিআই মেডিক্যাল টিম পর্যবেক্ষণে রাখছে। আজকে তিনি খেলতে পারবেন কি না, তা তার চিকিৎসার অগ্রগতির ওপর নির্ভর করবে।’
হার্মারের প্রথম দুটি বল সহজেই খেলে নেওয়ার পর স্কোয়ার লেগের ওপর দিয়ে সুইপ করে আত্মবিশ্বাসের পরিচয় দেন গিল। ঠিক সেই শটের পর ফলো-থ্রুতে ঘাড়ে অস্বস্তি অনুভব করতে দেখা যায় তাকে।

সঙ্গে সঙ্গে হেলমেট খুলে তিনি ঘাড় চেপে ধরেন। দ্রুতই ফিজিও মাঠে ছুটে আসেন। কিছুক্ষণ পরীক্ষার পর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাঁকে মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ধৈর্য ধরেই করেছিলেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার ওয়াশিংটন সুন্দর ও লোকেশ রাহুল। কিন্তু প্রোটিয়া পেসারদের প্রাথমিক দাপট সামলে ঠিক যখন মনে হচ্ছিল বড় পার্টনারশিপ গড়বেন তাঁরা, তখনই হার্মারের মারণ ঘূর্ণির শিকার হলেন সুন্দর।
প্রথমবার ৩ নম্বরে ব্যাট করতে এসে ৮২ বলে ২৯ করলেন ওই অলরাউন্ডার। সুন্দর প্যাভিলিয়নে ফেরার পর আরও বড় ধাক্কা খেল ভারত। ভাল ফর্মে থাকা অধিনায়ক শুভমান গিল নেমে ৩ বল খেলেই চোট নিয়ে মাঠ ছাড়লেন।
গিলকে ঝকঝকে দেখাচ্ছিল। ৩ বলের মধ্যে একটি ভাল বাউন্ডারিও মারেন। কিন্তু তারপরই ঘাড়ের কাছে ব্যথা অনুভব করেন ভারত অধিনায়ক। শেষমেশ ওই ব্যথা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে।
গিলের বদলে ব্যাট করতে নেমে সহ–অধিনায়ক ঋষভ পন্থ অবশ্য স্বমহিমায় খেলছিলেন। কেশব মহারাজকে বড়সড় ছক্কা হাঁকিয়ে নতুন রেকর্ডও গড়েছেন তিনি। ভারতীয়দের মধ্যে টেস্টে সবচেয়ে বেশি ছক্কার মালিক এখন পন্থই।
টেস্টে তাঁর ছক্কার সংখ্যা ৯১। আগে এই রেকর্ড ছিল শেহবাগের দখলে। তিনি হাঁকিয়েছেন ৯০ ছক্কা। রোহিত শর্মার ছক্কা সংখ্যা ৮৮।তবে মাত্র ২৪ বলে ২৭ করেই শর্ট বলে ফেরেন পন্থ। আউট হয়ে গিয়েছেন লোকেশ রাহুলও। ৩৯ রান করেছেন তিনি।
তবে টেস্টে চার হাজার রান পূর্ণ হল রাহুলের। ৬৬ তম টেস্টে মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি। ঋষভ ফিরতেই লোয়ার মিডল অর্ডারে বাকি ব্যাটাররা কেউই রান পাননি। প্রোটিয়া স্পিনাররা জাঁকিয়ে বসেন ভারতীয় ব্যাটারদের ওপর। সিমরন হার্মার নেন চার উইকেট।
