সম্পূর্ণা চক্রবর্তী: ম্যাচ শুরুর মিনিট বারো মতো হয়েছে। ইডেনে গমগম করে বেজে উঠল "ঝুমে জো পাঠান।" গোটা গ্যালারি তখন ঘুরে গিয়েছে বি ব্লকে কর্পোরেট বক্সের দিকে। তৃতীয় ওভার সবে শেষ হয়েছে। কিন্তু ইডেনের নজর তখন আর বাইশ গজে নেই, সবার চোখ কিং খানকে খুঁজছে। ইডেনে হ্যাটট্রিক বলিউডের বাদশার। এখনও পর্যন্ত তিনটে ম্যাচ হয়েছে কলকাতায়, প্রত্যেক ম্যাচেই হাজির শাহরুখ। এর আগে এরকম পরপর কখনও আসেননি। এবার নববর্ষের আগের রাতেই শহরে চলে আসেন। টানা তিনদিন থাকলেন। প্রথম দিনের পোশাক ছিল কালো। দ্বিতীয় দিন বেগুনি। এদিন শারুখের পরনে সাদা টি-শার্ট। চোখে সানগ্লাস, মাথায় পনি টেল। সঙ্গে হাজির তাঁর ম্যানেজার পূজা। ঝুলন গোস্বামীকে দেখেই জড়িয়ে ধরেন। বেশ কিছুক্ষণ দু"জনকে কথা বলতে দেখা যায়। "পাঠান" এর প্রবেশের পরই ভরে যায় ইডেনের গ্যালারি। প্রায় ৯০ শতাংশ ভর্তি। নয়তো ম্যাচ শুরুর সময় প্রায় ৩০ শতাংশ ফাঁকা ছিল। প্রথম দুটো ম্যাচ প্রায় হাউজফুল। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে গ্যালারিতে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। কিন্তু মঙ্গল সন্ধেয় অবাক করল ইডেন। সপ্তাহের মাঝে ম্যাচের শুরুতে ক্রিকেটের নন্দনকাননে একাধিক আসন ফাঁকা। অবশ্য এই দৃশ্য ক্ষণস্থায়ী। কিং খান প্রবেশ করার মিনিট দশেকের মধ্যেই বদলে যায় ছবি। তবে মঙ্গল সন্ধের আসল মুহূর্ত এল ১০ ওভারের শেষে। ইডেনে তখন বাজছে বাদশা সিনেমার টাইটেল ট্র্যাক, "আশিক ভি হু, কাতিল ভি হু।" গ্যালারিতে তার সঙ্গে কোমর দোলালেন শাহরুখ। পয়সা উসুল কলকাতার ক্রিকেটপ্রেমীদের।
