আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতের প্রাক্তন তারকা ব্যাটার শচীন তেন্ডুলকারের বিসিসিআই (BCCI) সভাপতি হওয়ার জল্পনা একেবারেই ভিত্তিহীন। এমনটাই জানাল, তাঁর ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ। বৃহস্পতিবার শচীনের ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আসন্ন বিসিসিআই নির্বাচনের আগে শচীনের সভাপতি হওয়া নিয়ে যে গুজব ছড়িয়েছে, তার কোনও ভিত্তি নেই। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের নজরে এসেছে যে কিছু রিপোর্ট এবং গুজব ঘুরছে যেখানে দাবি করা হচ্ছে শচীন তেন্ডুলকারকে বিসিসিআই সভাপতির পদে বিবেচনা বা মনোনীত করা হয়েছে। আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই যে এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি।’

উল্লেখ্য, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর বিসিসিআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভায় (AGM) সভাপতি, সহ-সভাপতি, সচিব, যুগ্ম সচিব ও কোষাধ্যক্ষ পদের জন্য নির্বাচন হবে।এর আগে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে সভাপতি ও সচিব সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদ নিয়ে আলোচনা হবে। জানা গিয়েছে, বিসিসিআইয়ের অ্যাপেক্স কাউন্সিলে সাধারণ সভার একজন প্রতিনিধি এবং ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন থেকে দু’জন প্রতিনিধি নির্বাচন ও অন্তর্ভুক্তি এবারে বোর্ডের অ্যাজেন্ডায় রয়েছে। একইভাবে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলে সাধারণ সভা থেকে দু’জন প্রতিনিধি এবং ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন থেকে একজন প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

আরও পড়ুন: 'গম্ভীর কোচ হওয়ার পর থেকেই এই জিনিস চলছে', এই তারকাকে আমিরশাহি ম্যাচে না দেখে বিস্মিত অশ্বিন

প্রসঙ্গত, রজার বিনির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আগস্টে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন রাজীব শুক্লা। বিসিসিআই সংবিধান অনুযায়ী, ৭০ বছর পার হলে আর কোনও প্রশাসক পদে থাকতে পারেন না। গত মাসেই ৭০ বছরে পা দেন বিনি। সভাপতি পদ নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সূত্রের খবর, রাজীব শুক্লার নাম নিয়ে তিনটি সম্ভাবনা আলোচনায় রয়েছে। তাঁর সহ-সভাপতি হিসেবেই থাকা, সভাপতি পদে উন্নীত হওয়া অথবা আইপিএল চেয়ারম্যান হওয়া।

তবে বর্তমানে তাঁর সহ-সভাপতি হিসেবে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি, যদিও তাঁকে সভাপতি পদে উন্নীত করার সম্ভাবনা একটা থেকেই যাচ্ছে। উল্লেখ্য, এর আগে রজার বিনির পাশাপাশি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও বিসিসিআই সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন। সুনীল গাভাস্কার ও শিভলাল যাদব অতীতে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি ছিলেন। এবার নাম উঠেছিল শচীন তেন্ডুলকারের। অন্যদিকে, আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলে ফিরতে পারেন প্রাক্তন কোষাধ্যক্ষ অনিরুদ্ধ চৌধুরী। এছাড়াও বাংলার অভিষেক দালমিয়াও নামের দৌড়ে আছেন। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অবশ্য নেতৃত্ব বৈঠকের আলোচনার ওপর নির্ভর করবে। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে এজিএম হওয়ার কথা। সংস্থার নিয়ম মেনে এবার নির্বাচন হবে। মাত্র কয়েকটা পদ খালি আছে।

ন্যাশনাল স্পোর্টস গভর্নেন্স অ্যাক্ট চালু হতে কিছুদিন সময় লাগবে। ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করবে না বিসিসিআই। সংসদে ন্যাশনাল স্পোর্টস বিল পেশ হওয়ায় বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভা পর্যন্ত সভাপতির ভূমিকা বিনির থাকার কথা ছিল। শুধু তাই নয়, যদি বোর্ডের বিভিন্ন রাজ্যের সদস্যরা সহমত হয়, তাহলে আরও পাঁচ বছর বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্টের ভূমিকায় থাকতে পারতেন ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। নতুন স্পোর্টস বিল অনুযায়ী, জাতীয় স্পোর্টস ফেডারেশনের কর্তারা ৭৫ বছর পর্যন্ত পদে থাকতে পারেন। যা আগে ছিল ৭০। বোর্ডের এক সূত্র জানান, 'সেপ্টেম্বরে বোর্ডের বৈঠক পর্যন্ত রজার সভাপতি থাকবে। নতুন করে আরও পাঁচ বছর তিনি থাকবেন কিনা সেটা নির্ভর করবে বোর্ডের বাকিদের সিদ্ধান্তের ওপর।' কিন্তু ইতিমধ্যেই সরে দাঁড়ান বিনি। যার ফলে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হবে।