আজকাল ওয়েবডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর দলের উদ্যাপনে ধরা পড়ল এক মজার মুহূর্ত।
বিশাখাপত্তনমে সিরিজ ডিসাইডারে ন’উইকেটের দুর্দান্ত জয়ের পর সেঞ্চুরিয়ান যশস্বী জয়সওয়ালকে কেক কাটতে দেখা যায়। সেই সময় রসিক মুডেই ছিলেন বিরাট কোহলি।
তবে রোহিত শর্মা কেক খেতে অস্বীকার করে হালকা রসিকতা করলেন, ‘ওজন বেড়ে যাবে।’ মজার ছলে বলা মন্তব্যটিই তুলে ধরল তাঁর বড় লক্ষ্যকে সামনে রেখে নিজেকে আরও ফিট রাখার দৃঢ় সংকল্প।
চলতি বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর রোহিতের শারীরিক পরিবর্তন হয়ে উঠেছে আলোচনার কেন্দ্রে। অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে এবং ওয়ানডেতে প্রত্যাবর্তনের সময় তিনি জাতীয় দলে প্রাক্তন সহকারী কোচ অভিষেক নায়ারের অধীনে কঠোর ফিটনেস প্রোগ্রাম মেনে চলেছেন।
কয়েক মাস ধরে প্রতিদিন একেকটি পেশীর জন্য ৭০০–৮০০ রিপিটিশন, সঙ্গে ক্রস-ফিট ও কার্ডিও—সপ্তাহে ছয় দিন। একইসঙ্গে খাদ্যাভ্যাসেও আনেন বড় পরিবর্তন।
মুম্বইকারদের প্রিয় ভাডা পাভের মতো পছন্দের খাবারও বাদ দিতে হয়েছে তাঁকে। এই কঠোর রুটিনে রোহিতের প্রায় ১০ কেজি ওজন কমেছে। ফলও মিলেছে হাতেনাতে।
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের আগে টিম ইন্ডিয়ার ফটোশুটে রোহিতের চেহারা দেখে অবাক বনে গিয়েছিলেন ভক্তরাই। তাঁকে এখন অনেকটাই ছিপছিপে এবং অ্যাথলেটিক দেখাচ্ছে।
মাঠে তার গতিশীলতা, সহনশক্তি এবং স্ট্যামিনা সব ক্ষেত্রেই এসেছে উন্নতি, যা রোহিতের কেরিয়ার দীর্ঘায়িত করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ক্রমবর্ধমান শারীরিক চাহিদার সঙ্গে তাল মেলানোর প্রয়াস হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
বিশেষ করে বিশাখাপত্তনমে রোহিতের ফিল্ডিং চোখে পড়ার মতো। উল্লেখ্য, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শেষে দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের পর থেকেই রোহিত দুর্দান্ত ফর্মে আছেন।
অস্ট্রেলিয়া সফরে প্রথম ম্যাচে খুব একটা ছন্দে না থাকলেও অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৯৭ বলে ৭৩ রান করে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এক হাজার ওয়ান ডে রান ছোঁয়া প্রথম ভারতীয় ব্যাটার হন তিনি।
সিডনিতে তৃতীয় ম্যাচে আরও দাপট দেখান রোহিত। ২৩৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে অপরাজিত ১২১ রান করেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক।
ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও সেই ফর্ম বজায় রাখেন। রাঁচিতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে করেন স্বচ্ছন্দ অর্ধশতরান যা তাঁর কেরিয়ারের ৬০তম।
আর তৃতীয় ওয়ান ডে-তে বিশাখাপত্তনমে ৭৩ বলে ৭৫ রানের পরিণত ইনিংস খেলে দলের বড় ওপেনিং জুটির ভিত্তি গড়ে দেন, যা ভারতের সিরিজ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দুই সিরিজ মিলিয়ে রোহিত শর্মা দেখিয়েছেন স্থিরতা, ধারাবাহিকতা এবং নেতৃত্বসুলভ ব্যাটিং।
