আজকাল ওয়েবডেস্ক: হ্যান্ডশেক বিতর্কের রেশ কাটার আগেই আবার মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান। তবে বাইশ গজের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে নয়। প্র্যাকটিস মাঠে। ম্যাচের পর এই প্রথম মুখোমুখি হল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের ক্রিকেটাররা। তখনও নিশ্চিত হয়নি এশিয়া কাপে পাকিস্তান খেলা চালিয়ে যাবে কিনা। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে দুবাইয়ের আইসিসি অ্যাকাডেমিতে হাজির হয় পাকিস্তান দল। বুধবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে নামবে সলমন আঘারা‌। একই সময় সেখানে প্র্যাকটিস করছিল সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বাধীন দল। মাঠে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল ভারতীয় ক্রিকেটাররা। 

টিম ইন্ডিয়ার প্র্যাকটিস ছিল সন্ধে ৬টা থেকে। পাকিস্তানের অনুশীলন ছিল ৯টা থেকে। পাকিস্তান দল মাঠে প্রবেশ করার সময় পুরোদমে টিম ইন্ডিয়ার প্র্যাকটিস চলছিল। তখনও সূর্যদের ট্রেনিং শেষ হতে আরও একঘন্টা বাকি ছিল। কিন্তু দুই দলই দূরত্ব বজায় রাখে। একই মাঠের দুই ধারে ভারত-পাক অনুশীলন চললেও একে অপরের চত্বরে পা দেয়নি দুই দলের ক্রিকেটাররা। মাইক হেসন নিজের দলকে নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। গৌতম গম্ভীরও বিপক্ষকে পাত্তা দেয়নি। বুধবার পাকিস্তান যদি সংযুক্ত আরব আমিরশাহিকে হারিয়ে দেয়, তাহলে রবিবার আবার ভারত-পাকিস্তান মহারণ। 

আরও পড়ুন:হ্যান্ডশেক কাণ্ডে ইউ টার্ন আইসিসির, হালকা স্বস্তি ফিরল পাক শিবিরে...

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে 'হ্যান্ডশেক কাণ্ড' নিয়ে তোলপাড় বিশ্ব ক্রিকেট। আইসিসির কাছে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের নামে অভিযোগ জানায় পিসিবি। টসের পর দুই অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব এবং সলমন আঘার মধ্যে নিয়মমাফিক করমর্দন হয়নি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চিঠিতে বলা হয়, 'আইসিসির নিয়োগ করা নিরপেক্ষ ম্যাচ কমিশনার এই আচরণের সমর্থন করেছে। যা ক্রিকেটের নিয়মের বিরুদ্ধে। ম্যাচ রেফারি নিজের দায়িত্ব পালন করতে পারেনি। দুই অধিনায়ক এবং দুই দেশের মধ্যে সম্মান বজায় রাখতে পারেনি। দুই অধিনায়ককে করমর্দন করতে বাধ্য করা উচিত ছিল। এমনকী ম্যাচ রেফারির সিদ্ধান্ত পুরোপুরি বিপরীত ছিল। ম্যাচ অফিসিয়ালদের আইসিসি কোড অফ কন্ডাক্টের দ্বিতীয় ধারা ভঙ্গ করেছে ম্যাচ কমিশনার। ম্যাচের স্পিরিট বজায় রাখা উচিত ছিল। ম্যাচের ওজন, রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডের কথা মাথায় রেখে, এই আচরণ খেলাকে অসম্মান করেছে।' মহারণের পর তিনদিন কেটে গেলেও হ্যান্ডশেক বিতর্কের রেশ কমছে না। 

আরও পড়ুন: এশিয়া কাপে বিতর্ক আর কমছে না, পাকিস্তান এবার সাংবাদিক বৈঠক বাতিল করল ...