আজকাল ওয়েবডেস্ক: একদিনের বিশ্বকাপে উইকেটের পেছনে ভরসা দিয়েছিলেন কেএল রাহুল। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গ্লাভস হাতে তাঁকে নাও দেখা যেতে পারে। বিজয় হাজারে ট্রফির ফাইনালের পরেরদিন, অর্থাৎ ১৯ জানুয়ারি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণা করতে বৈঠকে বসবে নির্বাচক কমিটি। সেদিনই ১৫ জনের চূড়ান্ত দল ঘোষণা করা হবে। দলের অধিকাংশ জায়গাই নির্দিষ্ট করা আছে। দুটো স্পট নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এক, দ্বিতীয় উইকেটকিপার। দ্বিতীয়, রিস্ট স্পিনার। যদি সময় মতো কুলদীপ যাদব ফিট হয়ে না উঠতে পারে। প্রথম কিপার হিসেবে এগিয়ে থাকতে পারেন ঋষভ পন্থ। দ্বিতীয় উইকেটকিপারের দৌড়ে থাকতে পারেন ধ্রুব জুরেল, সঞ্জু স্যামসন এবং ঈশান কিষাণ। তিনের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকতে পারেন জুরেল। বিজয় হাজারে ট্রফির মূলপর্বে না খেলায় দৌড়ে পিছিয়ে পড়তে পারেন সঞ্জু।
ব্যাট হাতে ছন্দে আছেন ঈশান। কিন্তু গত মরশুমে ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলায় বর্তমান নির্বাচক কমিটির পছন্দের তালিকায় নেই তিনি। যার ফলে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও বাদ পড়েন। বিজয় হাজারেতে ৭ ম্যাচে ৩১৬ রান করেন বাঁ হাতি ব্যাটার। তারমধ্যে রয়েছে একটি শতরান। বিশ্বকাপ দলের অঙ্গ ছিলেন ঈশান। তবে এই দৌড়ে তাঁকে টেক্কা দিতে পারেন জুরেল। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-২০ দলেও তাঁকে রাখা হয়েছে। জিম্বাবোয়েতে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে তাঁর অভিষেক হয়। সাদা বলের ক্রিকেটে তাঁকে খেলাতে চান অজিত আগরকর সহ বাকি নির্বাচকরা। ভবিষ্যতে টেস্ট এবং একদিনের ক্রিকেটে এক এবং দু'নম্বর উইকেটকিপার হিসেবে ধরা হবে পন্থ এবং জুরেলকে। সঞ্জু স্যামসনকে শুধুমাত্র টি-২০ ফরম্যাটের জন্য ভাবা হতে পারে। কুলদীপ যাদব সময়ের মধ্যে ফিট না হতে পারলে বরুণ চক্রবর্তী এবং রবি বিষ্ণোইয়ের মধ্যে একজন সুযোগ পেতে পারে। দু'জনেরই আইপিএলে গৌতম গম্ভীরের কোচিংয়ে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ছন্দে আছে দুই স্পিনারই। তবে ফিল্ডিংয়ে বরুণের থেকে কিছুটা এগিয়ে বিষ্ণোই। শেষমেষ কার ভাগ্য খুলবে সেটাই দেখার।
