জয়ন্ত ঘোষাল: সব খেলার সেরা তুমি বাঙালির ফুটবল।
তবে বাঙালির ফুটবল শুধু ক্রীড়া নয়! খেলার সঙ্গে মিলে মিশে আছে বাঙালির সংস্কৃতি। আর তাই ফুটবল সাংস্কৃতিক দূত হয়ে ‘বিশ্বসাথে যোগে যেথায় বিহারো’ এই সুর তুলে যুক্ত হয়ে যেতে পারে সকলের সঙ্গে অনায়াসে। পৃথিবীর সেরা আরেক কোনও ফুটবল দলের সঙ্গে।
ফুটবল আজ বিশ্বজনীন। আমরা বলি ফুটবল। ইউরোপ–আমেরিকানরা বলে ‘সকার’। যে নামেই ডাকো তাকে! ফুটবল শুধু প্রাপ্তবয়স্ক মানুষদের পায়ে খেলা করে? বড়বড় ক্লাব তৈরি হয়। শুধু তা নয়! ছাত্রজীবনের সঙ্গেও ফুটবল জড়িয়ে থাকে। ছাত্র–ছাত্রীরা তাদের শিক্ষা প্রাঙ্গণে স্টেডিয়ামের সবুজ ঘাসে ফুটবল খেলে। তখন সে তো শুধু ক্রীড়া সংস্কৃতি নয়। শিক্ষা জগতের এক বিরাট আকাশে নিজেকে উন্মুক্ত করে।
সম্প্রতি কলকাতায় ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ফুটবল এল। যুক্ত হল টেকনো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে। সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির ময়দানে দেখা গেল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ক্লাবের প্রখ্যাত প্রবীণ অবসরপ্রাপ্ত ফুটবলার শন রাইট ফিলিপসকে। ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ফুটবল তার যাত্রাপথ কিন্তু আজ শুরু করেছে এমন নয়। ১৮৮০ সালে যাত্রা শুরু হয়েছিল। ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ফুটবলের ডাকনাম ‘ম্যান’ ক্লাব। এই ক্লাব ভারতের কোনও একটা রাজ্যের কোনও একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ছাত্র–ছাত্রীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একসঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ করবে–’এতো এক সাংঘাতিক খেলা হবে’।
আর এই কর্মযজ্ঞের প্রধান ঋত্বিক হলেন টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের অধিকর্তা দেবদূত রায়চৌধুরী।
এই বৈপ্লবিক কাণ্ডটি করতে অনেক কাঠখড় পড়াতে হয়েছে! দেবদূত বাবু চুপচাপ অনেক বৈঠক অনেক আলোচনা করে এই বাজিমাত করেছেন!
আসলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন ম্যাঞ্চেস্টার সিটির ট্রফি ট্যুরের সাক্ষী থাকতে চেয়েছেন তরুণ প্রজন্ম। সেই কারণে সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে যখন এই ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ট্যুরের অনুষ্ঠানটি হল তখন বৃষ্টি মাথায় নিয়ে এ শহরের বিভিন্ন স্কুল কলেজের ফুটবল ভক্ত ছাত্র ছাত্রী হাজির হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। ম্যাঞ্চেস্টার সিটির প্রাক্তন ফুটবল তারকা শন রাইট ফিলিপস তিনিও বৃষ্টির মধ্যে এসে পৌঁছেছিলেন। ব্রিটিশ উইঙ্গারের একঝলক পেতে তখন উপচে পড়া ভিড়। বল পায়ে নিল ম্যাঞ্চেস্টার সিটির এই প্রাক্তন তারকা। বেশ কয়েকটা শট গোলে মারলেন। শট মারলেন, গোল হল। সে এক সাংঘাতিক উন্মাদনা। একেই বোধহয় বলে ফুটবল কার্নিভাল। ফুটবল ক্যুইজ হচ্ছে। ফুটবল নিয়ে নানান রকমের আয়োজন। টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের ডিরেক্টর দেবদূত রায়চৌধুরী হলেন এই কর্মযজ্ঞের ঋত্বিক। তিনি নিজেও অবাক হয়ে গেছেন বৃষ্টির মধ্যে এত লোকের আগ্রহ দেখে। তিনি বলেন আমরা আশা করেছিলাম আটশো থেকে হাজার রেজিস্ট্রেশন হবে। সেখানে রেজিস্ট্রেশনই হয়ে গেল পাঁচ হাজার। এই সংখ্যাটাই তো সব কিছু বলে দিচ্ছে। আমরা ভাবি যে বাবা মায়েদের উৎসাহে ভাটা পড়েছে। কিন্তু সেই ভুল সম্পূর্ণ ভেঙে দিয়েছে এই উৎসব।
