কেদারনাথের কাছে অবস্থিত কেদারেশ্বর গুহা অনেকের কাছে 'গুপ্ত মহাদেব' বা 'শিব গুহা' নামে পরিচিত। এই গুহা ঘিরে হিন্দু ধর্মে অনেক রহস্যময় বিশ্বাস প্রচলিত আছে।
2
7
পুরাণ মতে, কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের পর পাণ্ডবরা যখন শিবের খোঁজে হিমালয়ে গিয়েছিলেন, তখন শিব এই গুহায় আত্মগোপন করেছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়। তাই এই স্থানটিকে অত্যন্ত জাগ্রত মনে করা হয়।
3
7
গুহার ভেতর চারটি স্তম্ভ রয়েছে, যেগুলোকে হিন্দু ধর্মের চারটি যুগের প্রতীক ধরা হয়- সত্যযুগ, ত্রেতাযুগ, দ্বাপরযুগ এবং কলিযুগ।
4
7
লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, প্রতি যুগে একটি করে স্তম্ভের আয়তন কমতে থাকে বা সেটি ভেঙে পড়ে। বর্তমানে তিনটি স্তম্ভ ছোট হয়ে গেছে বা ক্ষয়ে গেছে এবং কেবল শেষ স্তম্ভটি (কলিযুগের প্রতীক) দাঁড়িয়ে আছে।
5
7
বলা হয়, গুহার ভেতরে অবস্থিত এই শেষ স্তম্ভটি যেদিন সম্পূর্ণ ভেঙে যাবে বা মাটির সঙ্গে মিশে যাবে, সেদিনই পৃথিবীতে কলিযুগের অবসান ঘটবে। একেই মহাপ্রলয় বা পৃথিবীর শেষ সময় হিসেবে মানা হয়।
6
7
গুহার ভেতরে প্রাকৃতিকভাবেই পাথরের গা বেয়ে সবসময় জল পড়তে থাকে। ভক্তদের বিশ্বাস, এই জলধারা স্বয়ং গঙ্গা এবং এটি প্রকৃতিগতভাবেই শিবলিঙ্গের ওপর বর্ষিত হয়।
7
7
বিজ্ঞানীরা একে সাধারণ ভৌগোলিক ক্ষয় হিসেবে দেখলেও, হাজার হাজার বছর ধরে মানুষের বিশ্বাস যে এই স্তম্ভের ক্ষয় হওয়ার গতি কলিযুগের পাপ বাড়ার সঙ্গে সম্পর্কিত। এই আধ্যাত্মিক রহস্য আজও পর্যটক ও ভক্তদের টানে।