আজকাল ওয়েবডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ওপেনার জো বার্নস নতুন পরিচয়ে আবির্ভূত হয়েছেন, এইবার ইতালির নেতৃত্বে। ৩৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২৩টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। সেখানে চারটি শতরানের মালিক হওয়ার পর তিনি এবার তাঁর পারিবারিক শিকড়কে আঁকড়ে ধরেই ইতিহাস গড়েছেন ইতালির হয়ে। সম্প্রতি, নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অনুষ্ঠিত ইউরোপিয়ান রিজিওনাল ফাইনালে স্কটল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, জার্সি এবং গার্নসির মতো দলকে হারিয়ে প্রথমবারের জন্য আইসিসি পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করেছে ইতালি। ২০২৬ সালে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হবে এই বিশ্বকাপ।
বার্নস জানান, ‘বিশ্বকাপে ইতালির টুপি মাথায় পরা হবে আমাদের ক্রিকেট ইতিহাসে এক যুগান্তকারী অধ্যায়। আমরা জানি এর গুরুত্ব ঠিক কতটা। আমরা এমন একটা দল তৈরি করেছি যারা বিশ্ব মঞ্চে চমক দিতে পারে’। তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা রোমে এক সপ্তাহ, যুক্তরাজ্যে এক সপ্তাহ অনুশীলন করেছিলাম। ছেলেদের প্রথম দিনেই বলেছিলাম, লুক্সেমবার্গ হোক বা বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারত, আমাদের হতে হবে বিশ্বের সবচেয়ে প্রস্তুত দল। প্রস্তুতি এমন কিছু যা প্রতিভার চেয়ে বেশি গুরুত্ব পায়’। উল্লেখ্য, গার্নসির বিরুদ্ধে সহজ জয় এবং স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৬৭ রান ডিফেন্ড করে ইতালি বিশ্বকাপে কার্যত নিশ্চিত করে ফেলে। শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরে গেলেও নেট রান রেট অনুযায়ী তাদের জায়গা নিশ্চিত হয় বিশ্বকাপে। বার্নস বলেন, ‘শেষ ম্যাচে জেতার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু যখন দেখলাম সেটা হচ্ছে না, তখন কৌশল বদলাই। রান রেটের দিকে নজর দিই। আমাদের স্পিনাররা, ক্রিশান কালুগামাগে এবং বেন মানেন্তি দারুণভাবে ম্যাচে ফিরিয়ে আনে’।
উল্লেখ্য, জো বার্নস তাঁর জার্সি নম্বর ৮৫ নির্বাচন করেছেন তাঁর প্রয়াত ভাই ডোমিনিকের স্মৃতিতে। ইতালির হয়ে খেলার সিদ্ধান্তও এসেছে তাঁর পরিবারের ইতিহাস থেকে। বার্নসের ঠাকুমা ও ঠাকুরদা ছিলেন ইতালির নাগরিক। দ্য হেগ এর মাঠে শুক্রবার নেদারল্যান্ডসকে হারালেই বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত হয়ে যেত ইতালির। তবে হারলেও সুযোগ ছিল। কারণ দ্বিতীয় স্থানে থাকা জার্সির সঙ্গে পয়েন্ট সমান (৫) থাকলেও রান রেটে অনেকটাই এগিয়েছিল ইতালি। সেটাই শেষ পর্যন্ত কাজে দিল। ইউরোপ কোয়ালিফায়ারে সবার উপরে শেষ করেছে নেদারল্যান্ডস। তাদের ছয় পয়েন্ট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইতালিলি এবং তৃতীয় স্থানে থাকা জার্সির পাঁচ পয়েন্ট হলেও নেট রান রেটে জার্সিকে (০.৩০৬) পিছনে ফেলেছে ইতালি (০.৬১২)।
আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৪ তোলে ইতালি। সর্বোচ্চ রান বেন মানেন্তির (৩০)। শুরুটা খারাপ হলেও পরের দিকের ব্যাটারদের দৌলতে মোটামুটি ভদ্রস্থ রান তোলে তারা। অন্যদিকে, নেদারল্যান্ডসের সামনে জেতা ছাড়া কোনও রাস্তা ছিল না। তারা শুরু থেকেই চালিয়ে খেলতে থাকে। বিনা উইকেটে ৭১ তুলে ফেলে। এর পর ওপেনার মাইকেল লেভিটকে (৩৪) ফেরান ইতালির ক্রিশান কালুগামাগে। তবে ম্যাক্স ও’ডাউড (অপরাজিত ৪৭) এবং অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসের (অপরাজিত ৩৭) সৌজন্যে জিততে অসুবিধা হয়নি নেদারল্যান্ডসের। এটা ঘটনা প্রথমবার টি২০ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেলেও ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপে ইতালির খেলা এখনও নিশ্চিত নয়। এখনও যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি তারা। তবে সুযোগ রয়েছে এখনও।
