আজকাল ওয়েবডেস্ক: ডি ক্লার্কের ক্যাচটা ধরে পাখির মতো হাত দুটো মেলে দিলেন ভারতের মহিলা দলের ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত কৌর। নবি মুম্বইয়ে বেজে উঠল, ''মা তুঝে সালাম।'' ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরের হাতে উঠল বিশ্বকাপ। 
বিশ্বকাপ হাতে নেওয়ার মঞ্চে ভাংড়া নাচতে শুরু করে দেন হরমনপ্রীত। সম্প্রতি 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো'-য়ে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন বিশ্বজয়ী দলের সদস্য জেমাইমা রডরিগেজ। 

সেই অনুষ্ঠানে হরমনপ্রীতের ভাংড়া নাচের প্রসঙ্গ উত্থাপ্পন করেন সঞ্চালক কপিল। খবরের ভিতরের খবর প্রকাশ  করেন জেমাইমা। ট্রফি হাতে নেওয়ার সময়ে স্মৃতি মান্ধানা একপ্রকার হুমকি দিয়েছিলেন ভারতের অধিনায়ককে। 

মান্ধানার হুমকি পাওয়ার পরই হরমনপ্রীত ট্রফি হাতে নাচতে শুরু করেন।  

যদিও কপিল শর্মার এই শোয়ে উপস্থিত ছিলেন না মান্ধানা। তবে জেমাইমা ভিতরের যে  খবর তুলে ধরেন, তাতে বোঝা যায় দলের উপরে কতটা প্রভাব মান্ধানার। তাঁর কথা ফেলতে পারেন না স্বয়ং অধিনায়কও। 

জেমাইমা জানান, হরমনপ্রীত দলের তরুণী ক্রিকেটারদের কথা শুনতে চান না।  কিন্তু স্মৃতির প্রতি দুর্বল হরমনপ্রীত। স্মৃতির কথা ফেলতে পারেন না ভারত অধিনায়ক। ট্রফি হাতে তোলার ঠিক আগের মুহূর্তে স্মৃতি অনুরোধ করে বসেন হরমনপ্রীতকে। 

হরমনপ্রীতের স্বতঃস্ফূর্ত ভাংড়া নাচের প্রশংসা করে কপিল বলেছিলেন, ''জেমাইমা ও হরলীন এই নাচের পরিকল্পনা করেছিল।'' জেমাইমা ভিতরের কথা তুলে ধরে বলেন, ''এটা স্মৃতির আইডিয়া। হ্যারিদি কারওর কথা শোনে না। গোড়ার দিকে হ্যারিদি নাচতে চায়নি। কিন্তু স্মৃতি ঘোষণা করে, তুমি যদি ভাংড়া না নাচো তাহলে তোমার সঙ্গে জীবনে আর কথাই বলব না।'' 

স্মৃতি মান্ধানার কথা ফেলতে পারেননি হরমনপ্রীত। জয় শাহর হাত থেকে ট্রফি নেওয়ার আগে ভাংড়া নাচতে শুরু করেন। 
 বিশ্বকাপ জয়ের পরে ক্রিকেটারদের উদযাপনের প্রসঙ্গে জেমাইমা বলেন, ''আমরা জেতার পরে নিজেদের উৎসাহ, আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। আমরা নেচেই যাচ্ছিলাম। ঘুমানোর কথা কল্পনাও করিনি। উৎসব মুখর এক  নৈশভোজ ছিল। রাত সাড়ে তিনটে পর্যন্ত মাঠেই আমরা উদযাপন করি। স্টেডিয়ামের আলো বন্ধ করা হয়েছিল। যাতে আমরা মাঠে ছেড়ে চলে যাই। কিন্তু আমরা থামিনি। উদযাপন চলতে থাকে।'' নবি মুম্বইয়ের সেই রাত ভুলতে পারেন না জেমাইমারা। যা চিরদিনের ফ্রেমে জায়গা করে নিয়েছে।