আজকাল ওয়েবডেস্ক: দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে ইস্টবেঙ্গলে জয় গুপ্ত। আগামী চার বছর লাল হলুদ জার্সিতে দেখা যাবে ভারতীয় ডিফেন্ডারকে। বিরাট ট্রান্সফার ফি দিয়ে এফসি গোয়া থেকে ইস্টবেঙ্গলে এলেন ২৩ বছরের স্টপার। ২৭ নম্বর জার্সিতে তাঁকে দেখা যাবে। বছরের শুরুতে এফসি গোয়ার সুপার কাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। পরপর দু'বার ফাইনালে ওঠে এফসি গোয়া। পুনের ছেলে। দক্ষতার পাশাপাশি শারীরিকভাবে শক্তপোক্ত। রক্ষণ সামলানোর পাশাপাশি আক্রমণেও সাহায্য করতে পারেন। লেফট ব্যাক ছাড়াও সেন্টার ব্যাক হিসেবে খেলতে পারেন। তাঁর অন্তর্ভুক্তিতে ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণের শক্তি বাড়বে।
ইস্টবেঙ্গলের মতো আইকনিক ক্লাবে যোগ দিতে পেরে উচ্ছ্বসিত তরুণ ডিফেন্ডার। জয় বলেন, 'ইস্টবেঙ্গলের মতো বড় ক্লাবে যোগ দিতে পেরে আমি উচ্ছসিত। আমার ওপর আস্থা রাখার জন্য ক্লাবের ম্যানেজমেন্ট এবং কোচের কাছে কৃতজ্ঞ। গত বছর কলকাতায় জাতীয় দলে অভিষেক হয়। এবার একই শহরে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের হয়ে খেলার সুযোগ স্পেশাল। লাল হলুদের হয়ে অভিষেকের জন্য তর সইছে না। দলের সাফল্যে অবদান রাখতে চাই। অভিজ্ঞতা দিয়ে ডার্বি জিততে চাই। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের খুশি করতে চাই।' তাঁকে দলে পেয়ে রক্ষণ সমস্যা অনেকটাই কাটবে। যা তৃপ্তি দিচ্ছে ইস্টবেঙ্গল কোচকে। অস্কার ব্রুজো বলেন, 'গুপ্ত বাঁ পায়ের ভাল ফুলব্যাক। রক্ষণ সামলানোর পাশাপাশি আক্রমণেও সাহায্য করতে পারবে। ও দলের গুরুত্বপূর্ণ অ্যাসেট। এফসি গোয়ায় হয়ে ওর পারফরম্যান্স নজর কাড়ে।' ইস্টবেঙ্গলের ফুটবল অ্যাকাডেমির হেড থংবয় সিংটো বলেন, 'জয় তরুণ প্রতিভাবান ডিফেন্ডার। ক্লাব এবং আন্তর্জাতিক পর্যায় নিজেকে প্রমাণ করেছে। ওর অন্তর্ভুক্তিতে ব্যাকলাইনের শক্তি বাড়বে।'
এফসি পুনে সিটির ইউথ দল দিয়ে শুরু করেন জয়। তারপর বিদেশে পাড়ি দেন। পর্তুগালে ট্রেনিংয়ের পাশাপাশি খেলেনও। তারপর স্পেনের ক্লাবে খেলেন। ২০২৩ সালের মাঝ মরশুমে দেশে ফেরেন। এফসি গোয়াতে যোগ দেন। দুই মরশুমে ৫২ ম্যাচ খেলেন। দুটো গোল করেছেন। রয়েছে তিনটে অ্যাসিস্ট। ১০টি ক্লিন শিট। রাখেন। ২০২৩ আইএসএলের ইমার্জিং প্লেয়ার হন। এফসি গোয়ায় খেলাকালীনই লাল হলুদ কর্তাদের নজরে পড়েন। কথাবার্তা আগেই চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আইএসএলের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে থাকায় খাতায় কলমে সই হতে একটু দেরী হল। যদিও ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালের আগে তাঁকে নথিভুক্ত করানো হয়। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল শেষ চার থেকে ছিটকে যাওয়ায় লাল হলুদ জার্সিতে অভিষেক হয়নি জয়ের।
