আজকাল ওয়েবডেস্ক: মুল্লানপুরে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভারতকে ৫১ রানে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে সমতা ফেরাল দক্ষিণ আফ্রিকা।

গৌতম গম্ভীর বা সূর্যকুমার যাদব যতই মুখে বলুন, ওপেনিং ছাড়া ব্যাটিং অর্ডারে কারওর ফিক্সড জায়গা নেই, এদিন সেই ট্রান্সরপারেন্সি ভোগাল ভারতের ব্যাটিং অর্ডারকে।

২১৪ রান তাড়া করতে গিয়ে তিন নম্বরে নামা অক্ষর প্যাটেল খেললেন ২১ বল, করলেন ২১ রান। সূর্যকুমার, গিল রান পেলেন না। টপ অর্ডার ব্যর্থ হতেই ম্যাচ হারল ভারত।

তবে এদিনের নায়ক কুইন্টন ডি কক। একাধিক একস্ট্রা, ফুলটস, হাফ ভলির খেসারত দিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে হারতে হল টিম ইন্ডিয়াকে। এদিন টসে জিতেছিলেন স্কাই।

নিয়েছিলেন বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত। টসের সময় জানিয়েছিলেন, পরের দিকে শিশিরের প্রভাব পড়বে, রান তাড়া করে জিততে চান তাঁরা। দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমে ব্যাট করে তোলে ২১৩ রান। ভারত অল আউট হয়ে গেল ১৬২ রানেই।

ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকেই ঝড় তুলেছিলেন কুইন্টন ডি কক। গত ম্যাচে শূন্য রানে আউট হলেও এদিন ছিলেন দুর্ধর্ষ ফর্মে। তবে অর্শদীপ এবং বুমরা এদিন একেবারেই নিষ্প্রভ।

প্রথম থেকেই দুই পেসার মার খেলে পাওয়ার প্লে-তেই স্কাই নিয়ে আসেন বরুণ চক্রবর্তীকে। তিনি রিজা হেনড্রিক্সকে ফেরান। কিন্তু ডি-কক এবং মার্করামের পার্টনারশিপ প্রোটিয়াদের জন্য বড় রানের রাস্তা খুলে দেয়।

এই পার্টনারশিপে মার্করাম খুব বেশি চালিয়ে খেলতে পারেননি। কিন্তু ডি-কক এদিন ছিলেন বিধ্বংসী ফর্মে। মার্করামকে(২৯) ফেরান সেই বরুণ চক্রবর্তীই।

মিডল ওভারে স্পিনাররা কিছুটা রানও চেপে দিয়েছিলেন। জিতেশ শর্মার ব্রিলিয়ান্সে শতরান মিস করেন ডি কক। তিনি ফেরেন ৪৬ বলে ৯০ রান করে।

কিন্তু ফের খেলা দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে ঘুরে যায় ডেথ ওভারে। ডেভিড মিলার এবং ডোনাভন ফেরেরার মারকুটে ব্যাটিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা তোলে ২১৩ রান।

এদিন ভারতীয় বোলাররা একস্ট্রা ২২ রান খরচ করেছেন। তার মধ্যে ওয়াইড বল ১৬টা। পাশাপাশি, ডেথ ওভারে একের পর এক ফুলটস, হাফ ভলি সেট করে দেয় প্রোটিয়া ব্যাটারদের।

রান তাড়া করতে নেমে ভারতের মূল ভরসা ছিল টপ অর্ডার। কিন্তু শুভমান গিল ফেরেন প্রথম বলেই। তাঁর টি-টোয়েন্টি দলে থাকা নিয়ে ইতিমধ্যেই ভক্তরা সমালোচনা শুরু করেছেন।

অভিষেক শর্মা ভাল শুরু করেও তিনি ফেরেন ১৭ রান করে। তিন নম্বরে অক্ষর প্যাটেল নেমে বল নষ্ট করে ফিরে গেলেন। 

বিশ্বকাপের আগে ভারতের আগে একমাত্র সুখবর তিলক ভার্মার ফর্ম। গত ম্যাচেও ব্যাটে বল লাগছিল তাঁর। এদিনও ৩৪ বলে তিনি করে গেলেন ৬২ রান।

অন্যদিকে, আবারও ব্যর্থ অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। তিনি মাত্র পাঁচ রান করে ফিরলেন প্যাভিলিয়নে। ভারতের শেষ আশা ছিল হার্দিক পাণ্ডেয়া এবং তিলক ভার্মা জুটি।

হার্দিক(২০) ফিরতেই আশা শেষ হয়ে যায় ভারতের। জিতেশ শর্মা(২৭) শেষের দিকে চেষ্টা করলেও তা কাজে আসেনি টিম ইন্ডিয়ার জন্য। বর্তমানে সিরিজের ফলাফল ১-১।