আজকাল ওয়েবডেস্ক: তাঁর নেতৃত্বে ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান। ফাইনালে ব্যাট হাতে তাঁর ইনিংস ভোলার নয়। তরুণ তুর্কি ইমজামাম উল হককে না পাঠিয়ে তিনি চলে গিয়েছিলেন ইংল্যান্ড বোলারদের মোকাবিলা করার জন্য। তিনি ইমরান খান। ওয়াসিম আক্রমদের কাপ্তান।
প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে অন্তত তিন সপ্তাহ ধরে কেউ দেখা করতে পারছেন না। কারাগারের অভ্যন্তরে তিনি কেমন আছেন, তাও একপ্রকার অজানা। এমন পরিস্থিতিতে হঠাৎই তাঁকে হত্যা করা হয়েছে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ে। যদিও নির্ভরযোগ্য কোনও সংবাদ সংস্থা তাঁর প্রয়াণের খবর ছাপায়নি। ইমরানের ঘনিষ্ঠ বলয়ে থাকা কোনও সূত্র প্রাক্তন পাক অধিনায়কের মর্মান্তিক অবস্থার খবর জানাননি। তবুও সোশ্যাল মিডিয়ায় টপ ট্রেন্ডিং ইমরান খান। কারাগারেই নাকি তাঁকে হত্যা করা হয়েছে, এমন খবর ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র।
বল হাতে তাঁর ইনডিপার বিখ্যাত। বিখ্যাত ব্যাটাররাও সেই মারণাস্ত্রের নাগাল পেতেন না। ধবধবে ফর্সা পাক অধিনায়কের প্রেমে পড়েছেন দেশবিদেশের অনেক মহিলাই। সেই ইমরানের মৃত্য়ুর গুজবের মধ্যেই আদিয়ালা কারাগারের সামনে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে বলে খবর। ইমরানের তিন বোনকে মারধর করার অভিযোগ এসেছে।
ইমরানের স্বাস্থ্য নিয়েও রয়েছে উদ্বেগ। সেই সঙ্গে সম্পূর্ণ তথ্য পৌঁছাচ্ছে না। আর তার জন্য বেড়েই চলেছে গুজব। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে কেবল ইমরান আর ইমরান। তাঁর মৃত্যুর খবরে ছয়লাপ।
প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর তিন বোন আদিয়ালা কারাগারের সামনেই অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। তিন সপ্তাহ ধরে তাঁরা তাঁদের ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না। কিন্তু বোনেদের কথা শুনছে কে! পুলিশ উলটে তাঁদের নির্মমভাবে মারধর করেছে বলেই অভিযোগ। পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ সমর্থকদের উপরেও চড়াও হয় পুলিশ।
২০২৩ সাল থেকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে বন্দি ইমরান। তাঁর বোনরা গত তিন সপ্তাহ ধরে ইমরানের সঙ্গে দেখা করতে চাইছেন। কিন্তু সেই সম্মতিই পাননি। এই কারণেই কারাগারের সামনে তাঁরা শান্তিপূর্ণ ভাবে অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েছেন। কিন্তু পুলিশ নিরীহ সমর্থক ও ইমরানের বোনেদের উপরে লাঠি চালায় বলেই অভিযোগ।
এমন অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, তবে কি কারাগারেই হত্যা করা হয়েছে ইমরানকে? পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ইমরান খানকে সম্পূর্ণ আলাদা করে রাখা হয়েছে। তাঁকে অন্যদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি বই, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এবং আইনজীবীদের সঙ্গেও দেখা করার অনুমতি মিলছে না। ইমরান খানকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে গুঞ্জন। বাড়ছে গুজব।
