আজকাল ওয়েবডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু হতে আর একমাসের একটু বেশি বাকি। কিন্তু পাকিস্তানে স্টেডিয়ামের কাজ এখনও শেষ হয়নি। করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়াম, লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম এবং রাওয়ালপিন্ডির ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সংস্কারের কাজ এখনও চলছে। তবে যে গতিতে কাজ চলা উচিত ছিল, তার থেকে অনেকেই পিছিয়ে পাকিস্তান। কচ্ছপ গতিতে কাজ এগোচ্ছে। যা দেখে চোখ কপালে উঠেছে আইসিসির আধিকারিকদের। ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তিনটে স্টেডিয়াম আইসিসিকে হ্যান্ডওভার করার কথা। কিন্তু পরিস্থিতি দেখে সেটা সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না। যা চিন্তা বাড়িয়েছে আইসিসির।
গত বছরের আগস্টে স্টেডিয়াম সংস্কারের কাজ শুরু হয়। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু তার ধারেকাছেও পৌঁছয়নি। টি-২০ বিশ্বকাপের সময়ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একই ঘটনা ঘটেছিল। সেটাই চিন্তা বাড়াচ্ছে। পাকিস্তানের বর্তমান পরিকাঠামো উদ্বেগ বাড়াচ্ছে আইসিসি কর্তাদের। সবকিছু খতিয়ে দেখতে আইসিসির একটি প্রতিনিধি দল সপ্তাহ শেষে পাকিস্তানে যাবে। এক সূত্র জানান, 'খুবই হতাশাজনক পরিস্থিতি। তিনটে স্টেডিয়ামের একটাও তৈরি হয়নি। শুধু সংস্কারের কাজ বাকি আছে তেমন নয়, নির্মাণের কাজ এখনও বাকি। সিট, ফ্লাডলাইট, আউটফিল্ড, পিচ, সবকিছুর কাজ এখনও বাকি।'
এই বিষয়ে আইসিসির পক্ষ থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি। লাহোর এবং করাচিতে অধিকাংশ কাজ বাকি। ড্রেসিংরুম, হসপিটালিটি বক্সের কাজ এখনও শেষপর্যায় পৌঁছয়নি। ফ্লাডলাইট এবং সিটের কাজও বাকি। নির্মাণ কাজে বাধা সাধতে পারে আবহাওয়া। গাদ্দাফিতে প্লাস্টারের কাজ শেষ হয়নি। সময়ের অভাবে নতুন গ্যালারি তৈরির কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়াম। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে একটি সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল (ভারত না উঠলে) হতে পারে। কিন্তু নির্মাণকাজে এখনও অনেকটাই পিছিয়ে সেই স্টেডিয়াম। আইসিসিকে ভেন্যু হস্তান্তর করার এক মাস বাকি। তারমধ্যে তিনটে স্টেডিয়ামের কাজ সম্পূর্ণ হবে কিনা সেই নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। যার ফলে প্রয়োজনে গোটা টুর্নামেন্ট সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। আইসিসির মার্কি টুর্নামেন্ট টি-২০ বিশ্বকাপের প্ল্যানিংয়েও সমস্যা হয়েছিল। আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও সেদিকেই যাচ্ছে।
