আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সইয়ের পর স্পোর্টস বিল এখন আইনে পরিণত হয়েছে। এবার কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে দেশের নতুন ক্রীড়া আইন মেনে হোক ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) নির্বাচন। এমনই চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। এদিকে, আগামী সেপ্টেম্বরে বিসিসিআইয়ের নির্বাচন। সেই নির্বাচন নতুন ক্রীড়া আইন মেনে হবে, না লোধা আইন অনুসারে হবে, তা এখনও চূড়ান্ত নয়।


এটা ঘটনা, স্পোর্টস বিল আইনে পরিণত হলেও নিয়ম এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সে কারণেই এই বিভ্রান্তি বা দ্বিধা তৈরি হয়েছে। একটা সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরের মধ্যে বোর্ড নির্বাচন চাইছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক। তার মধ্যে নিয়ম নির্দিষ্ট হয়ে গেলে ক্রীড়া আইন অনুযায়ীই বিসিসিআই নির্বাচন হোক। তা সম্ভব না হলে আপাতত লোধা আইনে নির্বাচন হতে পারে। কিন্তু ক্রীড়া আইনের নিয়ম ঠিক হয়ে গেলে আবার নির্বাচন করতে হবে। তাই মনে করা হচ্ছে, তিন মাস পিছিয়ে যেতে পারে বিসিসিআইয়ের নির্বাচন। তিন মাস পর্যন্ত নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সংবিধান অনুযায়ী।


কী ভাবে নির্বাচন হবে, তা ঠিক করতে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বিসিসিআই কর্তারা। মন্ত্রকের পরামর্শ মতো এগোতে চাইছেন তাঁরা। দু’বার করে নির্বাচনের পক্ষপাতী একেবারেই নন বিসিসিআই কর্তারা। প্রয়োজনে বোর্ডের নির্বাচন তিন মাস পিছিয়ে দিয়ে অপেক্ষা করা হতে পারে ক্রীড়া আইনের নিয়মের জন্য। বিসিসিআই সূত্রে খবর, অধিকাংশ কর্তা লোধা আইন অনুযায়ী নির্বাচনের পক্ষে। যদিও সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে বিরোধে একেবারেই যেতে চান না বিসিসিআই কর্তারা। 

 

আরও পড়ুন:‌ বিরাট ও রোহিতের জন্য বিদায়ী সিরিজ নয়, বড় বার্তা এই বোর্ড কর্তার...


এদিকে, বিসিসিআই সভাপতি রজার বিনির বয়স এখন ৭০। লোধা আইন অনুযায়ী, তিনি আর দায়িত্বে থাকতে পারবেন না। তাঁকে সরে যেতে হবে। আবার নতুন ক্রীড়া আইন অনুযায়ী, বিনি ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত দায়িত্বে থাকতে পারেন। ফলে প্রথমে লোধা আইনে নির্বাচন করে পরে আবার ক্রীড়া আইনে নির্বাচন হলে সমীকরণ বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। তাতে বোর্ডের ভিতরে অসন্তোষ তৈরি হতে পারে। সম্ভাব্য অস্বস্তিকর পরিস্থিতি এড়াতে চাইছেন বিসিসিআই কর্তারা। তাই নির্বাচন নিয়ে কিছুটা ধীরে চলো নীতি নিয়ে এগোতে চাইছে বিসিসিআই। প্রসঙ্গত, এখন অবশ্য লোধা আইন মেনে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (‌বিসিসিআই)‌ পরিচালিত হয়।

এদিকে, এই যখন পরিস্থিতি তখন পুরুষ দলের জাতীয় নির্বাচক কমিটিতে দুটি শূন্যপদ এবং মহিলাদের নির্বাচক প্যানেলে চারটি শূন্যপদ পূরণ করার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করল ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড বিসিসিআই। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তরফে শুক্রবার ঘোষণা করা হয়েছে, পুরুষ দলের জাতীয় নির্বাচক কমিটিতে দুটি শূন্যপদ এবং মহিলাদের নির্বাচক প্যানেলে চারটি শূন্যপদ পূরণ করতে আবেদনপত্র জমা নেওয়া হচ্ছে। যোগ্যতার নিয়মাবলি আগের মতোই অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। আবেদনকারীদের অন্তত ৭টি টেস্ট ম্যাচ বা ৩০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বিকল্পভাবে, অন্তত ১০টি একদিনের আন্তর্জাতিক (ওডিআই) বা ২০টি প্রথম–শ্রেণির ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও আবেদন করা যাবে।