আজকাল ওয়েবডেস্ক: আর কয়েকঘন্টার অপেক্ষা। তারপরই ম্যাঞ্চেস্টারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। চতুর্থ টেস্টের দলে তিনটে পরিবর্তন হতে পারে। আকাশ দীপের জায়গায় অংশুল কম্বোজের খেলা প্রায় পাকা। আগের দুটো টেস্টে খেলেন নীতিশ কুমার রেড্ডি। তাঁর পরিবর্ত খুঁজে বের করতে হবে গৌতম গম্ভীর এবং শুভমন গিলকে। বাঁ হাঁটুর চোটের জন্য সিরিজের বাকি দুটো টেস্ট থেকে ছিটকে গিয়েছেন ভারতীয় অলরাউন্ডার। এই দুটো ফোর্সড পরিবর্তন হবে দলে। তবে আরও একটি বদল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফেরানো হতে পারে সাই সুদর্শনকে। লিডসে দুই ইনিংসে ব্যর্থতার পর দ্বিতীয় টেস্টে বাদ পড়েন। প্রথম টেস্টে তিনে নামেন সাই। ছয় নম্বরে খেলেন করুণ নায়ার। কিন্তু দ্বিতীয় এবং তৃতীয় টেস্টে তিন নম্বরে ব্যাট করেন নায়ার। 

বৃহস্পতিবার বৃষ্টির জন্য ভারতের নেট সেশনে বিঘ্ন ঘটে। কিন্তু তাসত্ত্বেও দেখে মনে হয়েছে, ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টে ফিরছেন সাই। নেটে বেশ কিছুক্ষণ ব্যাট করতে দেখা যায় তাঁকে। পিচ কভার থাকাকালীন শ্যাডো প্র্যাকটিসও করেন তামিলনাড়ুর ব্যাটার। আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলনে করুণ নায়ার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে, কামব্যাক বয়ের পক্ষেই বলেন ভারত অধিনায়ক। জানান, টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁর ওপর ভরসা রাখছে। তিন টেস্টে ডাহা ব্যর্থ। ৩৩ বছরের ক্রিকেটারের রান ০, ২০, ৩১, ২৬, ৪০ এবং ১৪। নায়ার প্রসঙ্গে গিল বলেন, 'আমাদের মনে হয় ও ভাল ব্যাট করছে। প্রথম ম্যাচে ও তিন নম্বরে খেলেনি। ওর ব্যাটিং নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। একবার অর্ধশতরান পেয়ে গেলে ছন্দে চলে আসবে। আমরা ওর প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে আশাবাদী।' ভারত অধিনায়কের এই মন্তব্যের পর মনে হয় না তাঁকে বাদ দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে কার জায়গায় দলে ফিরবেন সুদর্শন, সেই নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। গৌতম গম্ভীর দলে অলরাউন্ডার রাখার পক্ষপাতী। তাই মনে হয় না, নীতিশের জায়গায় খেলবেন সাই। তাই হয়ত শেষমেষ করুণকেই বসতে হবে। আরও একটি বিকল্প রয়েছে। ওয়াশিংটন সুন্দরের বদলে নেওয়া হতে পারে সাইকে। তবে সেই সম্ভাবনাও কম। লর্ডসে চার উইকেট নেন ওয়াশিংটন। 

চতুর্থ টেস্টের আগে পরিস্থিতি অনুযায়ী, একমাত্র অংশুল কাম্বোজের অভিষেক নিশ্চিত। নীতিশের জায়গায় পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে দলে ফিরতে পারেন শার্দূল ঠাকুর। ইংল্যান্ডের মাটিতে তিনটে টেস্টে প্রত্যাশিত সাফল্য পাননি করুণ। তাসত্ত্বেও বাকি দুই টেস্টে কামব্যাক বয়কে সুযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন মহম্মদ কাইফ। ভারত অধিনায়ক শুভমন গিল এবং হেড কোচ গৌতম গম্ভীরকে অনুরোধ করেন করুণের পাশে থাকার জন্য। আট বছর পর ভারতের টেস্ট দলে প্রত্যাবর্তন করেন। ভাবা হয়েছিল, দু'হাতে এই সুযোগ লুফে নেবেন। কিন্তু রান পাননি। একটিও অর্ধশতরান নেই। দলের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। কাইফ মনে করছেন, এবার বাদ পড়তে পারেন করুণ। কারণ ম্যাচ হারলেই প্যানিক করতে শুরু করে দল। এই প্রসঙ্গে কাইফ বলেন, 'আমি একটা জিনিস লক্ষ্য করেছি। ম্যাচ হারলেই প্যানিক শুরু হয়ে যায়। জিতলে প্রথম একাদশে কোনও পরিবর্তন হয় না। প্রথম টেস্ট হারের পর দলে দুটো, তিনটে পরিবর্তন করা হয়। কিন্তু বার্মিংহ্যামে জেতার পর, শুধুমাত্র যশপ্রীত বুমরা দলে ফেরে। বাকি কোনও পরিবর্তন হয়নি। এভাবেই চলে আসছে। আমার মনে হয়, তৃতীয় টেস্ট হারের পরও ম্যাঞ্চেস্টারে একই দল ধরে রাখা উচিত। করুণ নায়ার শুরুটা খারাপ করছে না। ৩০, ৪০ রান করছে। কিন্তু বড় রানে কনভার্ট করতে পারছে না। ওর আরও একটা সুযোগ পাওয়া উচিত। এটা শুভমন গিল এবং গৌতম গম্ভীরের পরীক্ষা। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে লর্ডসে হেরেছে ভারত। তারপর কি প্যানিক করে দলে পরিবর্তন আনা হবে? নাকি প্লেয়ারদের ওপর ভরসা রাখা হবে?' শেষপর্যন্ত কোন কম্বিনেশনে মাঠে নামবে টিম ইন্ডিয়া, সেটাই দেখার।