আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ০-২ এ সিরিজ হারের পর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে ভারত। হারের পর টেবিলে পাঁচ নম্বরে নেমে গিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সাইকেলের মাঝপথে পৌঁছে গিয়েছে ভারত। ১৮ টেস্টের মধ্যে ৯টি টেস্ট খেলে ফেলেছে। এবার অঙ্ক পরিষ্কার। এই জায়গা থেকে টেস্ট বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছতে বাকি সবকটা টেস্ট জিততে হবে টিম ইন্ডিয়াকে। তবে সম্ভাবনা এখনও রয়েছে। নিউজিল্যান্ড এখনও একটাও সিরিজ খেলেনি। শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তান একটা করে খেলেছে। ইংল্যান্ড সবে মাত্র তাঁদের দ্বিতীয় সিরিজ খেলছে। শুরুতেই অস্ট্রেলিয়া (১০০%) এবং দক্ষিণ আফ্রিকার (৭৫%) আধিপত্য ভারতকে এককোনে ঠেলে দিয়েছে। 

আগের সাইকেলগুলো থেকে বোঝা যাচ্ছে, প্রথম দুইয়ে শেষ করতে দলগুলোকে ৬০-৬৫ শতাংশ ম্যাচ জিততে হবে। ২০২৩ সালে ৫৮.৮ শতাংশ ম্যাচ জিতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছেছিল ভারত। কিন্তু গতবছর ৬৭.৫৪ শতাংশ ম্যাচ জিতে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করে অস্ট্রেলিয়া। মাঝপথ পেরোনোর পর ভারতের পয়েন্ট ৫২। চারটে জিতেছে, চারটে হেরেছে এবং একটি ম্যাচ ড্র হয়েছে। সাইকেলে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছতে বাকি নয় টেস্ট থেকে আরও ৭৮ পয়েন্ট দরকার টিম ইন্ডিয়ার। বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী, খুব বেশি গাছাড়া ভাব দেখাতে পারবে না শুভমন গিলরা। হারলে বাকি দলগুলোর রেজাল্টের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। 

দ্বিতীয় পর্বে ভারতের বেশ কয়েকটা বিদেশ সফর রয়েছে। আগস্ট শ্রীলঙ্কা সফর। এরপর অক্টোবর-নভেম্বরে নিউজিল্যান্ড সফর। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আধিপত্য বজায় রেখেছে ভারত। তাঁদের ডেরায় শেষ ছয় টেস্টের মধ্যে পাঁচটিতে জিতেছে। কিন্তু নিউজিল্যান্ড সিরিজ চ্যালেঞ্জিং। ২০২০ সালে ০-২ এ সিরিজ হারে। তার আগে ২০১৪ সালেও হেরেছিল ভারত। পরিস্থিতি যা তাতে এই দুই সফরে ভারতের পক্ষে রেজাল্ট ৪-০ হলেও তাঁদের শেষ এবং সবচেয়ে কঠিন সফরে ভাল রেজাল্ট করতে হবে গিলদের। ২০২৭ সালের শুরুতে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে ভারত। ফাইনালের ছাড়পত্র সংগ্রহের ক্ষেত্রে একনম্বরে অস্ট্রেলিয়া। এখনও পর্যন্ত সবকটা টেস্ট জিতেছে। এরপর ঘরের মাঠে বাংলাদেশ এবং নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ। চারটে অ্যাওয়ে ম্যাচের মধ্যে তিনটেতে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সামনে চ্যালেঞ্জিং হোম সিরিজ থাকা সত্ত্বেও প্রোটিয়াদের সম্ভাবনা প্রবল। ঘরের মাঠে শুরুতেই হোঁচট খাওয়ায়, ভুলের জায়গা আর নেই বললেই চলে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের রাস্তা খোলা থাকলেও কঠিন।